নিউজ ডেষ্ক- ৪ বছর আগে ১০ জোড়া দেশি কবুতর দিয়ে খামার শুরু করেন সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নাজিম মাঝি। বর্তমানে তার খামারে প্রায় ৮০ জোড়া কবুতর বয়েছে। আর এসব কবুতর বিক্রি করে মাসে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করছেন। তার কবুতর খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবকা কবুতর পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, বন্ধুর পরামর্শে ৪ বছর আগে কবুতর পালন শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তার খামারে আছে রেসার, মিলি, গিরিবাজ, রেছেকার, মাছি জাতের প্রায় ৮০ জোড়া কবুতর। পেশায় জেলে হলেও কবুতরের খামারে ভাগ্য পরিবর্তন ঘটান নাজিম।
নাজিম মাঝি বলেন, মাত্র ১০ হাজার টাকা খরচ করে বসতঘরের সঙ্গে কবুতরের জন্য ঘর তৈরি করি। বিভিন্ন বাজার থেকে ১০ জোড়া দেশীয় কবুতর কিনে পালন শুরু করি। ৬ মাসের মধ্যে কবুতরে ঘর ভরে যায়। প্রথম বছরই ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার কবুতর বিক্রি করি। পরের বছর ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। এভাবেই বাড়তে থাকে আয়। এখন অন্য জাতের কবুতরও পালন করছি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রতি মাসে কবুতরের খাবারের পেছনে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর মাসে আয় হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কবুতর বিক্রির টাকা দিয়ে একটি ট্রলারও কিনেছি। সেই ট্রলার নিয়ে মাঝে মধ্যে মাছ শিকারে যাই।
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে নাজিমের মতো অনেক কবুতর খামারিকে বিভিন্ন সময় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে বাণিজ্যকভাবে কবুতরের খামার করে সফল হয়েছে।