নিউজ ডেষ্ক- চলতি বছরের শুরু থেকেই কফির দাম বাড়ানো হয়। আগামী জুলাইয়ে সরবরাহের জন্য অ্যারাবিকা ও রোবাস্তা কফির দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে বারচার্ট ডটকম।
আগামী কয়েক সপ্তাহে শীর্ষ কফি রফতানিকারক দেশ ব্রাজিলে শুষ্ক আবহাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়ার পর পানীয় পণ্যটির দামে এমন উল্লম্ফন দেখা যায়। খরা ও তুষারপাতের ঘটনা গত বছর ব্রাজিলের কফি উৎপাদন হ্রাসে ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে পরবর্তী দুই বছরের জন্য দেশের কফি উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা হ্রাস করে।
এদিকে কলম্বিয়ান কফি গ্রোয়ার্স’ ফেডারেশন জানায়, এপ্রিলে দেশটির কফি রফতানির পরিমাণ কমেছে ১৮ শতাংশ। এ সময়ে কলম্বিয়ার রফতানীকৃত কফির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ লাখ ৪৫ হাজার ব্যাগ। অ্যারাবিকা কফির দ্বিতীয় শীর্ষ রফতানিকারক হিসেবে বৈশ্বিক বাজারে ভূমিকা পালন করে দেশটি। ফলে কলম্বিয়ার রফতানি কমে আসায় পানীয় পণ্যটির দামেও এর প্রভাব লক্ষ করা যায়।
তাছাড়া উৎপাদন ও বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটেও কফির দাম বাড়ছে বলে জানা যায়। এপ্রিলে ব্রাজিলের কফি এক্সপোর্ট কাউন্সিল জানায়, মার্চে দেশটির গ্রিন কফি রফতানির পরিমাণ ৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৩৩ লাখ ব্যাগ। এপ্রিলে কলম্বিয়ার উৎপাদন কমে আসে ১৩ শতাংশ।
অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশন (আইসিও) জানায়, চলতি বিপণন বছরের অক্টোবর’ ২১-মার্চ’ ২২-এ বৈশ্বিক কফি রফতানি কমে দশমিক ১ শতাংশ। এ সময় বিশ্বব্যাপী রফতানীকৃত কফির পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৬৩ লাখ ব্যাগ।
ভিয়েতনাম বিশ্বের শীর্ষ রোবাস্তা কফি রফতানিকারক দেশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ভিয়েতনামের কফি রফতানিতে প্রবৃদ্ধি দেখার আশা করা হচ্ছে। সে হিসাবে গত মাসে ভিয়েতনামের কফি জাহাজীকরণের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ৭০ হাজার টন। এ পরিমাণ রফতানীকৃত কফি থেকে দেশটির আয় দাঁড়াবে ৩৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
এ সময়ে দেশটির কফি রফতানি ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৭ লাখ ৫২ হাজার টন। ভিয়েতনামের কফি রফতানির আকার দাঁড়াবে ১ কোটি ২৫ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি)। এক বছর আগের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধির দৃশ্য দেখা যাবে। সম্প্রতি ভিয়েতনামের জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস (জিএসও) এমনটা জানায়।
২০২২ সালের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) কফি রফতানি থেকে ভিয়েতনামের রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ। এক বছর আগের তুলনায় উল্লিখিত সময়ে অর্জিত এ প্রবৃদ্ধির ফলে দেশটির কফি রফতানি থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬৮ কোটি ডলার। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটা জানায় জিএসও।