নিউজ ডেস্ক- প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের একটি ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে প্রকাশিত ওই ফোনালাপে প্রতিমন্ত্রীর সেই কথোপকথনগুলো সহজভাবে নিতে পারছেন না দেশের শোবিজ অঙ্গনের মানুষেরা। বিষয়টি নিয়ে শোবিজে নানাভাবেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনয়শিল্পী, গায়ক, গায়িকা এবং নির্মাতারা।
তথ্যপ্রতিমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব পদ থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নারীর প্রতি ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করে বেশ তোপের মুখে পড়েছেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রীও ডা.মুরাদ হাসান। এরইমধ্যে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার দুটি ফোনালাপ রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ফাঁস হয়েছে।
গতকাল (সোমবার) মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে লিখেন, ‘আগের দিন দেখলাম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে অশ্লীলতম ভাষায় প্রজাতন্ত্রের একজন চাকর কথা বললেন। তার পরদিন সেই একই লোক এক অনুষ্ঠানে গিয়ে পুলিশ ভাইদের নসিহত করলেন যাতে তারা কারও সঙ্গে কোন ব্যবহার খারাপ না করেন। আর তার পরদিন শুনলাম উনি রেপ করার থ্রেট দিচ্ছেন কাউকে। এখন আপনারাই বলেন, এমন দেশটি কোথায় খুঁজে পাবেন?’
ক্ষোভ প্রকাশ করে ফারুকী আরও লেখেন, “এইসব দেখিয়া শুনিয়া একজন নাগরিক হিসাবে আমি বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ।”
অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন কলরেকর্ডটি কুৎসিত আখ্যা দিয়ে নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে লিখেন, ” আমার বৃষ্টিভেজা সুন্দর এই সকালটা শুরু হলো কুৎসিত এক কলরেকর্ড শুনে!”
নির্মাতা শিহাব শাহীন লিখেছেন, “সে(মাহি) কিন্তু একাধিকবার না বলেছিল।”
জনপ্রিয় রম্য লেখক শিমু নাসের লিখেছেন, “আওয়ামী লীগ এমপি ও প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান নিজেকে বাঁচাতে পারেন শুধু মাত্র একটি উপায়ে। তিনি ঘোষণা দিবেন, দলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে শুধু সেই, যে ক্ষমতায় এসে আমার মতো কখনো ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেনি।”
কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি লিখেছেন, “এমন বিকৃত রুচি, বিকৃত ভাষার একজন মানুষ আমাদের বর্তমান সরকারের প্রতিমন্ত্রী! রাজনীতির ময়দানে পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে বিষয়টা স্বাভাবিক। তাই বলে সস্তা পাবলিসিটির জন্য যে লোক একজন নারীকে সম্মান দিতে জানেনা তার প্রতি আমি ধিক্কার জানাই। জাইমা রহমান কে নিয়ে করা এমন জঘন্য বানোয়াট বক্তব্য প্রত্যাহারে সরকার কি ভূমিকা পালন করেন তা এখন দেখার অপেক্ষায় বাঙালি জাতি।”
মুরাদের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ভার্চুয়াল আলোচনায় নারীবিদ্বেষমূলক যে বক্তব্য দিয়েছেন এটি তাঁর ব্যক্তিগত মত। দলের বক্তব্য না।”