নিউজ ডেষ্ক– নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় দ্বিতীয় বারের মতো সাক্ষ্য দিতে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে ।
আজ (সোমবার) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে নিয়ে আসা হয় তাকে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আবারো কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে মামুনুলকে।
বেলা ১১টা থেকে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এই সাক্ষগ্রহণ শুরু হবে বলে জানান আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, “আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে চার ব্যাক্তির সাক্ষ্য নেয়া হবে। এর আগে গত মাসের ২৪ তারিখ প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য গ্রহণ নেওয়া হয়। এর আগে গত ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বিচার কাজ শুরুর জন্যে আদেশ প্রদান করা হয়।”
প্রসঙ্গত, মামুনুল হক গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সাথে অবস্থান করেন। আর ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। এই খবের স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রিসোর্টে এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
আর এ ঘটনায় গাড়ি ভাঙচুর, মহাসড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগ অফিস, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার মতো ঘটনা ঘটে। এমসময় এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সাংবাদিক একটি মামলা দায়ের করেন। এর কিছুদিন পর স্থানীয় লোকজন আরো তিনটি মামলা দায়ের করেন। ৬টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় প্রধান আসামি দেওয়া হয়েছে মামুনুল হককে।
পরে ৩০ এপ্রিল সকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই নারী। যাকে মামুনুল হক নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছিলেন।