কচুরিপানার চাহিদা বেড়েছে কুড়িগ্রামে!

ফিচার breaking subled

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গো-খাদ্য হিসেবে কচুরিপানার কদর বেড়েছে। বাজারে গো-খাদ্যের যে দাম তাতে বিশেষ করে প্রান্তিক গবাদিপশু পালনকারীদের মূল ভরসার নাম এখন কচুরিপানা। উপজেলার সব এলাকায় কচুরিপানা সহজেই মেলে এবং তুলনামূলক শ্রম ও সময় দুটোই সাশ্রয় হয়।

উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অনেকে বাধ্য হয়েই সাধ্য মতো খড়ের আটি কিনছেন। ১০০ খড়ের আটি সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ফিড প্রকার ভেদে সাড়ে ৭০০ থেকে ১৩৫০ টাকা ও গমের ভুষি প্রকার ভেদে প্রতিবস্তা ১৮০০ থেকে ১৯০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বোতলার পাড় গ্রামের মোজাম্মেল হক বলেন, প্রতিদিন সকালে কচুরিপানা কাটতে আসি। দিন এনে দিন খাই গরুর খাদ্যের যে দাম কিনতে পারি না। এবার কচুরিপানা এলাকায় না থাকলে গরু বাঁচানো খুব কষ্ট হত।

আব্দুল খালেক বলেন, কচুরিপানা মৌসুমি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করি। বাজরে যে হারে গো খাদ্যোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আমাদের কিনে খাওয়ানো সম্ভনা। আর তার জন্য কচুরিপানা শুকিয়ে নিয়ে খড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, গো-খাদ্যে সংকটের কারণ হচ্ছে অতিবৃষ্টির কারণে এবারে গরু মহিষ পালন কারীরা ইরি-বোরো মৌসুমের খড় শুকাতে পারেন নাই, আগাম বন্যার কারণে অনেকের লাগানো ঘাস ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু মাত্র খড়ের উপর নির্ভরশীল না হয়ে যত দ্রুত সম্ভব খামিদেরকে বিভিন্ন আধুনিক জাতের ঘাস চাষ করতে হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *