নিউজ ডেষ্ক– ময়মনসিংহ সদরে ওয়াজ মাহফিল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই ভাই নিহত হওয়ার পর সেই এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আর এ ঘটনায় এক পক্ষের বাড়িতে চলছে স্বজন হারানোর আহাজারি। অন্য পক্ষের বাড়িতে করা হয়েছে ব্যাপক ভাঙচুর। এমনকি নিয়ে গেছে বাড়িতে থাকা গরু ও ছাগল। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কম্বল, লেপ এবং তোশক। আর এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো এলাকায়।
আজ (শনিবার) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গতাকল (শুক্রবার) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চর সিরতা ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এতে ওই এলাকার আলী আকবরের দুই ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫) এবং সফিকুল ইসলাম (৩০) মারা যান।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, গত দুই বছর ধরে স্থানীয় তালেবিয়া জামে মসজিদ ও মাদরাসার জমি নিয়ে আলী আকবর ও হাসিম মেম্বারের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে সম্প্রতি আলী আকবর ও হাসিম মেম্বার দুটি কমিটি গঠন করেন। হাসিমের পক্ষ থেকে গত ২৪ নভেম্বর মাদরাসার মাঠে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আর সে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন বন্ধে আকবর পুলিশের কাছে আবেদন করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। পুলিশ দুপক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় ইউনুস মিস্ত্রি নামে একজন বলেন, সম্প্রতি মসজিদ কমিটির এক পক্ষ ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু অন্যপক্ষ তা করতে দেবে না বলে পুলিশের কাছে আবেদন করে। পরবর্তীতে পুলিশ ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেয়। এনিয়ে দুপক্ষের মারামারিতে দুজন মারা যায়।
কাছম আলী নামে আরেকজন জানান, মূলত মসজিদের জমি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। জমির বিরোধ নিয়ে কমিটি ভেঙে মসজিদ ও মাদরাসার নাম পাল্টে দিয়ে হাসিম মেম্বার সেখানে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেটি বন্ধ হয়। তবে কেউ পরাজয় মানতে রাজি নয়। তাই এমন ঘটনা ঘটে।মাহফিলের আয়োজন করে। তবে আলী আকবরের লোকজন মাহফিল করতে দেবে না বলে আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করা হয়। কিন্তু এরপরও দুপক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়।
আর এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, “হাসিম মেম্বারের লোকজন মাদরাসায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে। তবে আলী আকবরের লোকজন মাহফিল করতে দেবে না বলে আমাদের কাছে আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও দুপক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে দুজনকে আটক করা হয়েছে।