নিউজ ডেষ্ক- এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের হারের কারণে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জিমবাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে একটি করে ম্যাচ জয়লাভ করলেও বাংলাদেশের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারছিলো না জিম্বাবুয়ে।
কিন্তু গতকাল জিম্বাবুয়েকে সেই সিরিজ উপহার দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা কেউই রান করতে পারেনি। যেখানে ব্যাটিং সহক উইকেটেও তাদেরকে দেখা দিয়েছে একদম নিষ্প্রাণ। তাইতো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কঠোর সমালোচনা করেছেন দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এখন বাংলাদেশের সামনে ওয়ানডে সিরিজ। ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে আজ অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। সেখানে খালেদ মোহাম্মদ সুজন বলেন, “আমি খুব হতাশ। আমরা বারবার বলি নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে। কিন্তু আমরা কবে সে শিক্ষাটা নেব। আমি পুরোপুরি ক্রিকেটারদের দোষ দেব। তাদের প্রয়োগ সম্পূর্ণ ভুল ছিল।”
তিনি বলেন, “এখানে আমাদের জেতাটাই স্বাভাবিক ছিল। হারটা ছিল অস্বাভাবিক। আমরা জানি যে ওভারে আমাদের ১০-১২ করে লাগবে। কেউ দেখলাম যে একটা ছয় মারার চেষ্টা করছে। সবাই ২-১ করে নিচ্ছে। আমি একটা স্কোর করে নিজের জায়গাটা ঠিক রাখলাম, এটা কি ওই ধরনের কিছু কি না, আমি ঠিক জানি না।
তিনি আরও বলেন, “আপনি যদি ১০০ স্ট্রাইক রেটে খেলেন, তাহলে এখানে রান তাড়া করে জিততে পারবেন না। একজন-দুজনকে তো শট খেলতে হবে। ওদের দুজন ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট দেখুন। এখানে ভিন্ন কিছু করার প্রয়োজন ছিল না। শর্ট বলকে যদি পুল করে ছক্কা মারার আত্মবিশ্বাস না থাকে, তাহলে তো মুশকিল।”
সুজন বলেন, “যাদের নেওয়া হয়েছে তারা সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করা ক্রিকেটার। সবাই পারফর্ম করেই এখানে এসেছে। মুনিম শাহরিয়ারের কথা যদি বলেন, পারভেজের কথা বলেন- দুজনই লোকাল টি-টোয়েন্টিতে পারফর্ম করা ক্রিকেটার। আপনি সেরা পারফর্মারদেরই তো নিয়ে এসেছেন। তারা যদি পারফর্ম না করে তাহলে কী আর করার থাকে!”
তাহলে সামনে করণীয় কী? কিভাবে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব? জানতে চাইলে সুজন বলেন, “করণীয়টা কী এটা ক্রিকেটাররাই বলতে পারবে। এমন না যে ছেলেরা এখন দলে আসছে আর যাচ্ছে। তারা একটা সময়ের জন্য সুযোগ পাচ্ছে। তারা জানে যে তাদের জায়গা নিয়ে এত কাড়াকাড়ি নেই। তাদের ঠিকঠাক সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় তো মন খুলে খেলা উচিত। আমি ওই মন খুলে খেলাটা দেখতে পাচ্ছি না।”