সুপার টুয়েলভেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা। যদিও প্রথমবারের মতো টাইগারদের জন্য সুযোগ ছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার। কিন্তু সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেননি সাকিব-লিটনরা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ের শেষ ম্যাচের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। মাঝপথে খেই হারানো বাংলাদেশের ব্যাটারদের যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যে কারণে তাদের মনোবিজ্ঞানীর শরণাপন্ন হওয়া উচিত বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেই সেমি-ফাইনালের টিকিট পেতো বাংলাদেশ। কিন্তু এই সমীকরণ মেলাতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে দেশের বিমান ধরেছে তারা।
বাঁচা-মরার ম্যাচে একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। ১১ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাবর আজমের দল।
ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেননি। যার ফলে ১৩০ রানেরও লক্ষ্য মাত্রা দিতে পারেনি তারা। তাছাড়া বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ও পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচে। ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘নিজেদের ঘাড়েই দোষ নিতে হবে বাংলাদেশকে। এটা করা তাদের উচিত। আমি যদি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বা কোচ হতাম, তাহলে আমি এই ছেলেদের মনোবিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যেতাম।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ। যেখানে লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ভালো শুরু পায় তারা। প্রথম দশ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৭০ রান তুলেছিল তারা। এর পরের দশ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে কেবল ৬৭ রান তুলেতে পেরেছে বাংলাদেশ। ওয়াসিম আকরাম বলেম, ‘তারা ২ উইকেটে ৭৩ রান করেছিল এবং আমি ভেবেছিলাম অন্তত ১৬০ রান করবে। কিন্তু তারপর শান্ত ইফতিখারের বলে একটি অদ্ভুত শট খেলে বোল্ড হয়ে গেলো। আপনি যদি সিঙ্গেলস নিয়ে খেলতেন তাহলে স্কোরটা ১৫৫ হতো।’