নিউজ ডেষ্ক- দেশের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ের খবর প্রকাশ পায় সন্তান জয়ের মাধ্যমে। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের লাইভে অপু বিশ্বাস চলে আসেন। সেখানেই পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে জানান দেন দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার কারণ সম্পর্কে। একই পথে হেঁটেছেন শবনম ইয়াসমিন বুবলী। তিনিও অন্তরালে ছিলেন। এরপর প্রকাশ্যে এসে অনেকটাই অপেক্ষার পর জানান দেন তিনিও শাকিবের সঙ্গে বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ এবং তাঁদেরও সন্তান রয়েছে।
সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শাকিব খান বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার করে একটা কথা বলতে চাই, আমি আসলে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে পাবলিকের সামনে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। তাই নিজে এসব বিষয় গোপন রেখেছিলাম। কিন্তু আমি তো অপু কিংবা বুবলীকে বিষয়টি গোপন রাখতে বলিনি। তারা কেন বিয়ে বা সন্তান জন্মের পরপরই সবাইকে তা জানায়নি? এটিও কি আমার অপরাধ?’
গত ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গুলশানের বাড়িতে গোপন ভাবে শাকিব-অপুর বিয়ে হয় বলে জানা যায়। ২০১৭ সালে প্রকাশ পায় ঘটনা। এর পর বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর। এদিকে কয়েক মাস পরে ২০১৮ সালের ২০ জুলাই বিয়ে করেন আরেক নায়িকা শবনম বুবলীকে। সম্প্রতি শাকিব খান ও বুবলীর গোপনে বিয়ে ও সন্তানের খবর প্রকাশ পায়। বুবলীর বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আসে। এরপর শাকিব খান ও বুবলী দুজন একই সঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজেদের সন্তান শেহজাদ খান বীরকে পরিচয় করিয়ে দেন।
এ বিষয়ে শাকিব খান বলেন, প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত একটি জীবন থাকে। আমারও আছে। আমার প্রেম-বিয়ে-সন্তানের বিষয়টি একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এগুলো তো কেউ কখনো ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রকাশ করে না। তারপরও আমি সময় মতো সবার সামনে বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করে সবার সঙ্গে আনন্দ শেয়ার করতে চেয়েছি। কিন্তু যাদের আমি বিয়ে করেছি তাদের ভুলেই বিষয়টি বারবার বাজেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। যে কারণে অপুকে শেষ পর্যন্ত ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আজ আমার ব্যক্তিগত বিষয়কে পুঁজি করে আমার কিছু গোপন শত্রু আমার ব্যক্তি ও ফিল্মি ইমেজ ধ্বংসে ওঠে পড়ে লেগেছে। তারা আসলে অনেক আগেই চলচ্চিত্র জগৎ থেকে আমাকে হটিয়ে দেওয়ার নীলনকশা করে রেখেছিল। কিন্তু আমার দর্শক চাহিদার কারণে তাদের মিশন তারা সফল করতে পারেনি।
এখন আবার আমার গোপন শত্রুরা আরেক নায়িকাকে জড়িয়ে আমার নামে স্ক্যা ন্ডাল ছড়াচ্ছে। এসব বিষয়ে এখনো চুপ করে থাকা মানে নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করা। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে আমার। এবার আইনের পথে হাঁটব। ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকে আর ছাড় দেব না।