এমন কিছু আমি জীবনের প্রথম দেখলাম: তাসকিন

খেলা breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পর একটি বাক্যেই সবচেয়ে বেশি চর্চিত হয়েছে, সেটি হচ্ছে- ‘এক ম্যাচ দুইবার জিতেছে বাংলাদেশ দল।’ যদিও এটি কখনোই সম্ভব নয়, কিন্তু ব্রিসবেনের গাব্বায় এমন কিছুরই সাক্ষী হতে হয়েছে ক্রিকেট প্রেমীদের। এদিন বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ১৫১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রান।

বল হাতে ম্যাচের শেষ ওভারটি করতে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। প্রথম ৫ বলে খরচ করেন ১১ রান। ফলে জয়ের বন্দরে পৌছাতে জিম্বাবুয়ের শেষ বলে দরকার ছিল ৫ রান। জিম্বাবুয়ের ১১তম ব্যাটার মুজারাব্বানি মোসাদ্দেকের শেষ বলটি ব্যাটেই লাগাতে পারেননি। ফলে বলটি সরাসরি চলে যায় উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে।

আপাতদৃষ্টিতেই তারই সঙ্গে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। কিন্তু না! উইকেটরক্ষক সোহানের ভুলে শেষ হয়েও শেষ হয়নি ম্যাচটি। টিভি ক্যামেরায় দেখা যায় বলটি স্ট্যাম্পের আগে থেকেই তালুবন্দি করেছেন সোহান। ফলে স্ট্যাম্পের আগে থেকে বলটি তালুবন্দি করায় ‘নো বল’ ঘোষণা হয় সেই ডেলিভারিটি। যার কারণে আরও অতিরিক্ত এক রান ও একটি বল পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

এর ফলে শেষ বলে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ৪ রান। আবারও বল হাতে নিয়ে যান মোসাদ্দেক। এবারও শেষ বলটি ব্যাটে লাগাতে পারেননি মুজারাব্বানি। ফলে ৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট ম্যাচে এরকম দৃশ্যের দেখা মেলে না কখনো। যেমনটা স্বীকার করে নিয়েছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদও। বল হাতে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

ম্যাচ শেষে এই টাইগার পেসার তার পুরস্কার গ্রহণ করতে গেলে সঞ্চালক বলেন, ‘শেষ বলে এমন নো বলের ঘটনা এবারই প্রথম দেখতে হলো আমাদের।’ জবাবে তাসকিন বলেন, ‘হ্যাঁ! শেষ বলে এরকম নো বল বা ম্যাচ পরিস্থিতি বোধ হয় এবারই জীবনের প্রথম দেখলাম। ওই সময়ে আমরা খুবই চিন্তিত ছিলাম। তবে আলহামদুলিল্লাহ আমরা ম্যাচটি জিততে পেরেছি।’

তাসকিন বলেন, ‘আমি সবসময়ই আমার উন্নতির দিকে বেশি নজর দিচ্ছি এবং আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ সেটা করতে পেরে আমি খুশি। তাসকিন আরও বলেন, আমাদের বর্তমানে বেশ ভালো মানের কিছু পেস বোলার রয়েছে। সম্পূর্ন কোচিং প্যানেল আমাদের সমর্থন জোগাচ্ছে। একে অন্যেকে সাহায্য করছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *