নিউজ ডেষ্ক- এবার চট্টগ্রামে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ কর্মীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই কর্মীকে মারধরের ঘটনায় গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূলফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে ভর্তি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে ফটক খুলে দেওয়া হয়।
গত শনিবার ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে এক সিএনজিচালক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া দাবি করেন। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ জানান আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী সুমিত মণ্ডল। এর জেরে ওই সিএনজিচালক সুমিতকে মারধর করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু নাইম আরাফাতও। পরিস্থিতি খারাপ দেখে ঘটনাস্থল থেকে তিনি পালান। সুমিত চবি শাখা ছাত্রলীগ সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী।
এদিকে সুমিত বলেন, শনিবার এক সিএনজিচালক ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত দেড় হাজার টাকা ভাড়া দাবি করেন। এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাঁরা। ওই সিএনজিচালকসহ কয়েকজন তাঁদের রেল ক্রসিংয়ে চা খেতে দেখে মারধর করেন। প্রায় এক ঘণ্টা চবির মূলফটক বন্ধ রেখে টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফটক খুলে দিলেও আন্দোলন চালু রাখেন তাঁরা।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, বারবার শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের হামলা চালাচ্ছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। এ নিয়ে তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। মূলফটক খুলে দেওয়া হয়েছে। ভর্তিচ্ছুদের নিরাপত্তায় যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে ১৫ এপ্রিল ১২ শিক্ষার্থীকে মারধর করেন সিএনজিচালকরা। এ ছাড়া মার্চের ২২ তারিখেও ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে অটোরিকশাচালকের মারধরের শিকার হন চবি ছাত্রলীগের এক কর্মী।