নিউজ ডেষ্ক- তীব্র গরমের এই সময় রোজা রেখে সুস্থ থাকাটা বেশ চ্যালেঞ্জের বিষয়। আবহাওয়ার ওপর কারও হাত না থাকলেও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এই কঠিন সময়ে আপনি পেতে পারেন স্বস্তি ও প্রশান্তি।
এদিকে, রাজশাহীতে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) প্রথমবারেরমতো তারা কাঁচা আমের জিলাপি ক্রেতাদের সামনে এনেছেন। আর তাতেই পড়েছে হুলুস্থুল। যদিও প্রথম রোজা থেকেই রসগোল্লার দুটি বিক্রিয় কেন্দ্রে মিলছে মাসকলাইয়ের জিলাপি।
বেলা ৪টার দিকে নগরীর উপশহর নিউমার্কেট এলাকার রসগোল্লার বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। ইফতারের তখনো অনেক দেরি। তবুও ইফতার অনুসঙ্গ হিসেবে কাঁচা আমের জিলাপি নিতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
বিক্রয় কেন্দ্রের সামনেই বসানো হয়েছে অস্থায়ি চুলা। সেখানেই জিলাপি ভাজছিলেন কারিগর মাসুম আলী। রস থেকে তুলে রাখার ফুসরত নেই। সঙ্গে সঙ্গে শেষ! বিরাম নেই কারিগর-বিক্রয়কর্মীর। কাজের ফাঁকে কথা হয় মাসুম আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, প্রায় পনেরো বছর ধরে জিলাপি তৈরি করেন। কিন্তু কখনোই কাঁচা আমের জিলাপি তৈরি করেননি। জিলাপি তৈরির মূল উপকরণের সঙ্গে কাঁচা আম ব্লেন্ড করে যুক্ত করছেন। সেই সাথে দিচ্ছেন ফ্লেভার। সুস্বাদু এই জিলাপি যে কারো মন ভোলাবে।
মাসুম আলী আরও জানান, রসগোল্লায় মিলছে মাষকলাইয়ে আটার জিলাপি। বিশেষ এই জিলাপি চিনির রসের পরিবর্তে ডোবানো হচ্ছে খেজুরগুড়ের রসে। তাদের এই দুই ধরনের জিলাপি পুরোপুরি স্বাস্থ্যকর। গৃহিণী হাসিনা বেগম ওই পথ ধরে যাচ্ছিলেন। তার দৃষ্টি কাড়ে কাঁচা আমের জিলাপি। সঙ্গে করে নিয়েও যান। তিনি জানান, কখনোই তিনি কাঁচা আমের জিলাপি খাননি। তাছাড়া এটি দেখেতে ভালো লাগছে। সবমিলিয়ে তিনি এই জিলাপির স্বাদ নিতে চান। দামে তার আপত্তি নেই। ভালো জিনিষের দাম একটু বেশিই পড়ে বলেও জানান এই ক্রেতা।
কাঁচা আমের জিলাপি নজর কেড়েছে আরেক ক্রেতা ইখলাস হোসেন সেলিমেরও। তিনি জানান, রসগোল্লায় এর আগেও তিনি এসেছেন। এখানকার মিষ্টিগুলোর স্বাদে ভিন্নতা পেয়েছেন। তার ধারণা- এখানকার ইফতার আয়োজনেও ভিন্নতা থাকবে। এসে সেটিই পেয়েছেন। কাঁচা আমের জিলাপি তার নজর কেড়েছে। প্রথম দিনই তিনি বিশেষ এই জিলাপির স্বাদ নিতে চান। নগরীর ভদ্রা এবং উপশহর নিউমার্কেটে রসগোল্লার বিক্রয়কেন্দ্রে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা আমের জিলাপি। এ ছাড়া মাষকলাইয়ের জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।