জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আওয়ামী লীগ কর্মীরা এমনভাবে লুটপাট করছে, যাতে আগামী ২০-৩০ বছরে তাদের আর অভাব হবে না। আওয়ামী লীগ কর্মীরা লুটতরাজ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছে না। আর বিএনপিও লুটতরাজ করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপি শুধু মুক্তি চাই মুক্তি চাই বলে চিৎকার করছে।
কিন্তু দেশের মানুষের দুর্দশার কথা এই দুটি দল ভাবছে না। সংসার চালাতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। মানুষের কাজ নেই, ঘরে ঘরে কয়েক কোটি বেকার দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ফেনী জেলা জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় চুন্নু আরো বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো জোট নিয়ে ভাবছে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনেই প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার কাজ করছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করবে। দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্যের ইতিবাচক পরিবর্তন করতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি। আগামী নির্বাচনের আগে দলকে আরো শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির মহাসচিব।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করবে। দেশের মানুষ মাটির নিচ দিয়ে রেললাইন আর আসমান দিয়ে সড়কপথ দেখতে চায় না। দেশের মানুষ চায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে বিশেষায়িত হাসপাতাল, যেখানে তারা বিনা মূল্যে সকল চিকিৎসা পাবে।
সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তারা আগামী নির্বাচনে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের লাঙলে ভোট দিতে অপেক্ষা করছে।
ফেনী জেলা জাতীয় পার্টির মতবিনিময়সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাসচিব (চট্টগ্রাম বিভাগ) অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, ফেনী জেলা আহ্বায়ক রাশেদ চৌধুরী, উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, থানা নেতৃবৃন্দের মধ্যে ভিপি জহির উদ্দিন, জাফর আহমদ রাজু, শাহরিয়ার ইকবাল, মুজিবুর রহমান বাবুল, কামরুল ইসলাম ক্লাইফ, সিরাজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম মজুমদার, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।