নিউজ ডেষ্ক- সারাদেশ ইসলামের প্রচার-প্রসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ পালন করছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন খাঁটি ইমানদার মুসলমান। তিনি ইসলামের প্রচার-প্রসারে সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও তিনি হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে মসজিদ উত তাকওয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তারে প্রধানমন্ত্রী মসজিদ পাঠাগার ও ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপন করেছেন। এছাড়াও তিনি দাওরা হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান প্রদান করেছেন। উচ্চতর শিক্ষায় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। ইসলামের আদর্শ ও মর্মবাণী সঠিকভাবে প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা করেন। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), শবে কদর ও শবে বরাতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন, মাদরাসার শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করে ইসলামের খেদমতে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
এ সময় তিনি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শিশু কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় মসজিদ উত তাকওয়া সোসাইটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।মসজিদ উত তাকওয়া সোসাইটির সভাপতি একেএম রেজাউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তৃতা করেন সোসাইটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াত করেন বিশ্ব বিজয়ী হাফেজ জাকারিয়া। সিরাত বিষয়ে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন মসজিদের খতিব মাওলানা ইউসুফ আব্দুল মজিদ, মসজিদ উত তাকওয়া এর খতিব মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।