নিউজ ডেষ্ক- আসন্ন এশিয়া কাপের দল ঘোষণার সবশেষ দিন ছিল গত সোমবার ৮ আগস্ট হলেও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছ থেকে বাংলাদেশ সময় বাড়িয়ে নিয়েছে ৩ দিন। কিন্তু এতেও দল ঘোষণা করতে পারেনি বিসিবি। মূলত সাকিবের বেটিং প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির কান্ড আর দলের খেলোয়াড়দের চোটের অবস্থা দেখে দল নির্বাচনের জন্য এ সময় নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে দলের পাশাপাশি এশিয়া কাপের নেতৃত্ব নিয়েও ভেবেছে বিসিবি।
জানা গেছে, এশিয়া কাপের জন্য অধিনায়ক চূড়ান্ত করে ফেলেছিল বিসিবি। সাকিবের এক চুক্তির কারণে বদলাতে হয় সব সিদ্ধান্ত। যেকারণে অধিনায়কের নাম ঘোষণার আগে কিছুটা সময় নিচ্ছে বোর্ড। দল ঘোষণার দিনই জানা যাবে এশিয়া কাপের অধিনায়কের নাম।
এদিকে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে আছেন তিন ক্রিকেটার। মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি যে তালিকায় আছেন টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিবের নামও। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সাকিবের হাতেই নেতৃত্বের ব্যাটনটা যাওয়া সময়ের ব্যাপার। যদিও সাকিব দেশে আসার পরই এই সিদ্ধান্ত জানাবে বিসিবি।
এ বিষয়ে পাপন বলেন, ”উপায় নাই। লিটন দাস বা সোহান (নুরুল হাসান) ঠিক থাকলে ওদের কাউকেই হয়তো দিয়ে দিতাম। ওরা দুজনই তো ইনজুরড। আজকের (বৃহস্পতিবার) মিটিংয়েও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোসাদ্দেক, রিয়াদ, বিজয়ের নাম এসেছে। সিনিয়রদের মধ্যে তো ওদের নামই আসে। ইয়াংদের মধ্যে তো কেউ রেডি না। মেহেদী হাসান মিরাজ যদি টি-টোয়েন্টি টিমে থাকত, ওকে হয়তো দেওয়া যেত।”
তিনি বলেন, “এবার হয়তো সাকিবকে বেনিফিট অব ডাউট দেব। তবে আপনাকে এটা বলে দিতে পারি, এটাই হবে ওর জন্য শেষ সুযোগ। ওকে অবশ্যই কড়া নজরদারিতে রাখা হবে। ভবিষ্যতে এমন কিছু হলে আমি কারও সঙ্গে আর আলাপ করব না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই, আমাদের সিনিয়র প্লেয়ার যারা আছে, তারা ভালোভাবে শেষ করুক। তাই বলে বারবার তাদের সুযোগ দেওয়া হবে না।”