নিউজ ডেষ্ক- এবার যান চলাচলের জন্য প্রায় প্রস্তুত হয়ে এসেছে বঙ্গবন্ধু টানেল। এরমধ্যেই টানেলের ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে উদ্বোধনের উদ্দেশ্যে জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এই টানেল চালুর পর কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের অর্থনৈতিক চিত্র বদলে যাবে, যা দেশের প্রবৃদ্ধিতে অনন্য অবদান রাখবে।
এদিকে উদ্বোধন না হলেও চানেল চালুর প্রস্তুতি হিসেবে কর্ণফুলী টানেলের ভেতরে নির্মাণ সরঞ্জাম বোঝাই ট্রাক, পিকআপ কিংবা প্রকৌশলীদের বহনকারী মাইক্রোবাস চলাচল করছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে স্বপ্নের এ টানেল গিয়ে মিলেছে দক্ষিণের আনোয়ারা প্রান্তে।
ইতিমধ্যে দুই টিউব বিশিষ্ট মূল টানেল প্রায় প্রস্তুত হয়ে এসেছে। বর্তমানে অগ্নি নিরাপত্তামূলক ফায়ার প্লেট, লাইটিং এবং ডেকোরেশন প্লেট বসানোর কাজ চলছে। এক টানেল থেকে আরেক টানেলে যাওয়ার প্যাসেজ তৈরির কাজও শেষের দিকে। সব মিলিয়ে বাকি মাত্র ৯ শতাংশ কাজ।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ বলেন, পাওয়ার, মনিটরিং সিস্টেম ও টোল প্লাজার কাজসহ অল্প কিছু কাজ চলমান আছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দুটি টিউব চালু করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে টানেলের সাথে দুই প্রান্তের ৬ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন নির্মিত হচ্ছে আনোয়ারা প্রান্তের ওয়াই জংশন পর্যন্ত ৬ লেন সড়ক। চীনের সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ এর আদলে দেশের প্রথম এই টানেল পদ্মা সেতুর পর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হতে চলেছে বেল মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই টানেল চালুর পর ওই এলাকায় প্রথম ৫ বছরের মধ্যে শিল্পোন্নয়নের একটা নতুন মাইলস্টোন তৈরি হবে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘের টানেল নির্মাণ শুরু হয়। বাংলাদেশ এবং চীনের যৌথ অর্থায়নে এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।