নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উগ্র সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটন করাই এখনকার চ্যালেঞ্জ।
বুধবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় তিন নেতার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উগ্র সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটন করাই এখনকার চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, সব গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে এক হয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মূলোৎপাটন করতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বুধবার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা করেন। একই সাথে রাজশাহীতে কামারুজ্জামানের কবরেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও মোনাজাতেও অংশ নেন।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী এম. মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রী এ এইচ. এম কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় একটি দিন। জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।