নিউজ ডেষ্ক- আগামী ২ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর ধরে নিয়ে ১ মে পর্যন্ত ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৩ এপ্রিল। আর ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে।
ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ সোমবার রেল ভবনে এক বৈঠক হয়। সেখানেই অগ্রিম টিকিট বিক্রির এসব তারিখ ঠিক করা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
তবে এসব বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম আগামী বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য রেলের কর্মকর্তারা টিকিট বিক্রির দিন-তারিখ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২৩ এপ্রিল ২৭ এপ্রিল যাত্রার টিকিট বিক্রি হবে। ২৪ এপ্রিল বিক্রি হবে ২৮ এপ্রিল যাত্রার টিকিট। ২৫ এপ্রিল পাওয়া যাবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট।
২৬ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের যাত্রার টিকিট। শেষ দিন, অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল বিক্রি হবে ১ মের টিকিট। এ ছাড়া ৫ মে ঈদের ফিরতি যাত্রা শুরু হবে। ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিটি বিক্রি শুরু হবে ১ মে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শরিফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ রেলমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঈদে অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। বুধবার মন্ত্রী বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, স্বাভাবিক সময়ে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট পাঁচ দিন আগে থেকে বিক্রি করা হয়। এ ক্ষেত্রে এবারের ঈদেও পাঁচ দিন আগে থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নতুন কিছু নয়।
তবে ঈদে কতগুলো নতুন বগি যোগ হবে, কত বেশি যাত্রী পরিবহন করতে পারবে, বিশেষ কোনো ট্রেন চালু হবে কি না, এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া গ্রাহকেরা স্বাচ্ছন্দ্যে টিকিট কাটতে পারবের কি না, এ নিয়ে বেশি আলোচনা হয়।
তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক রেলের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, এই ঈদে বাড়তি কোনো চমক থাকার সম্ভাবনা নেই। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতও কমে যায়। এবার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন, এবার ঘরমুখী মানুষের স্রোত বাড়তে পারে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এবার ঈদে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতি ঈদেই ছয়-আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। এবার আন্তনগর ট্রেনের ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার টিকিট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এসব টিকিটের অর্ধেক অনলাইনে এবং বাকি অর্ধেক স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রি হবে।