নিউজ ডেষ্ক- ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সামনের দিকে যদি সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয় তা হলে প্রতিদিন ইসরাইলে তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানবে।
এ ধরনের যুদ্ধ মোকাবিলার জন্য ইসরাইলের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত নয় বলেও ওই জেনারেল জানান। এমনটাই জানায় তাসনিম নিউজ। ইসরাইলের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইজহাক ব্রিকের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির একটি সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করে।
জেনারেল ব্রিক বলেন, “সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দৃশ্যপট তৈরি হবে সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরাকে তৎপর ইরানপন্থি গেরিলা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে হামলা। এছাড়াও পাশাপাশি থাকবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তৎপর হামাস।”
আর এসব গোষ্ঠী ইসরাইল অভিমুখে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাবে এবং গড়ে প্রতিদিন ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তারা তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে বলেও জানান।
এর আগেও জেনারেল ব্রিক বেশ কয়েকবার সতর্ক করে বলেন, বহু ফ্রন্টে একইসাথে বর্তমানে লড়াই করার মতো অবস্থায় নেই ইসরাইলি বাহিনী।
গত মাসে জেনারেল ইজহাক ব্রিক সুস্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, বাস্তবতা হচ্ছে দিন দিন ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা কমছে এবং এটি বাস্তব সত্য যাকে উপেক্ষা করা মোটেও ঠিক হবে না।
জেনারেল ব্রিক আরও বলেন,“নতুন একটি যুদ্ধ আমাদেরকে বর্তমান সময় থেকে বহু বছর পিছিয়ে দেবে। আগের যুদ্ধগুলোতে আমরা যে ধরনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি, ভবিষ্যতের যুদ্ধে তুলনায় তা কিছুই না।”
এর আগে গত মে মাসে ইসরাইলের এই সাবেক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, “যে কোনো যুদ্ধে বিমানবাহিনী ইসরাইলের জন্য বিজয়ীর ভূমিকা রাখবে বলে যে বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল তা এখন ধ্বংস হয়ে গেছে।”
ইসরাইল এবং গাজাভিত্তিক হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের ১১ দিনের যুদ্ধের অবসানের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। ওই যুদ্ধে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলন ইসরাইল অভিমুখে চার হাজার রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।