নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে স্বতস্ফূর্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বিভিন্নস্থানে কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, অনেকে আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ধরে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি, তিনি রাজনীতি কিংবা প্রশাসনের যেই-ই হোন দায়িত্বহীন বক্তব্য সমীচীন নয়।
দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে- কিছু দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্বহীন ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য রেখে চলেছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু কোনো কোনো রাজনীতিবিদই নন, জনপ্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সভা-সমিতি-সেমিনারে তাদের দায়িত্বের সীমারেখা অতিক্রম করে বক্তব্য রাখছেন, মন্তব্য করছেন, যা মোটেই শোভন নয়।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ কিংবা সরকারি কর্মকর্তা সবারই একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা আছে, আচরণবিধি আছে, সকলের এ সীমারেখা মেনে চলা অতি আবশ্যক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের কারো কারো অতি-উৎসাহী এবং বাড়তি কথা বা বক্তব্যে জনমনে ভুল মেসেজ যেতে পারে, যা দেশের জন্য মোটেই শুভ নয়।
শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধসমালোচনা করা বিএনপির এখন প্রতিদিনের রাজনৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ ও দেশের জন্য তারা কিছু করতে না পারলেও মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের কাজটি সুনিপুণভাবে করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, চূড়ান্ত বিচারে এসব অপপ্রচার বিএনপির বিরুদ্ধেই যাবে এবং যাচ্ছে, যা তারা এখনো বুঝতে পারছে না। এসব সত্য বিএনপি যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল।