নিউজ ডেষ্ক- ইউক্রেনে সামরিক হামলার দ্বিতীয় দিনে তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে রাজধানী কিয়েভে ভারি ট্যাংক নিয়ে ঢুকে পড়েছেন রাশিয়ার সেনারা।
শুক্রবার বিকালে এক টুইটে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ দাবি করেছে। টুইটে বলা হয়েছে, ‘শত্রুরা’ পৌঁছে গেছে ওবোলন এলাকায়। শহরের প্রাণকেন্দ্রে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট থেকে ওই এলাকার দূরত্ব ৯ কিলোমিটারের মতো। ’
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দপ্তর স্থানীয়দের উৎসাহ দিচ্ছে, যেন তারা মলোটভ ককটেল বানিয়ে রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধের লড়াইয়ে যোগ দেয়।
পাশাপাশি বেসামরিকদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
টুইটে বলা হয়েছে, ‘শান্তিপ্রিয় বাসিন্দারা, সতর্ক থাকুন, নিজের বাড়ি ছেড়ে যাবেন না!’
এর আগে শুক্রবার সকাল থেকেই কিয়েভে গোলাগুলি চলারও খবর এসেছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। বেশ কয়েকটি বড় ধরনের বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া গেছে কিয়েভে।
এর আগে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে দিমার ও ইভানকিভ এলাকায় সংঘর্ষ চলছে। ওই এলাকায় রাশিয়ার বেশ কিছু সাঁজোয়া যান ঢুকে পড়েছে। রুশ সেনার কিয়েভের খুব কাছে পৌঁছে গেছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ভাদিম দেনিসেনকো রয়টার্সকে বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া ৩৩টি বেসামরিক জায়গায় হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেন সেনাবাহিনী এর আগে ফেসবুক পেজের পোস্টে বলেছে, কিয়েভের উত্তর পশ্চিমে রুশ সেনাদের প্রতিহত করতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের সেনারা। রাশিয়ার সেনাবাহিনী যাতে কিয়েভের দিকে আর এগোতে না পারে, সে জন্য তেতেরিভ নদীর সীমান্তবর্তী একটি সেতু ধ্বংস করে দিয়েছেন ইউক্রেনের সেনারা।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার ‘সেনা অভিযানের’ প্রথম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩৭ ইউক্রেনীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩১৬ জন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা ১৩৭ জন বীর, আমাদের নাগরিক, সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের হারিয়েছি।’ এ ছাড়া আরও ৩১৬ জন মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।