নিউজ ডেষ্ক- দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চারদিন ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার খবরে বন্দরের মোকামে পাইকারী পর্যায়ে প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম অন্তত ৭ টাকা করে বেড়েছে। এদিকে খুচরা বাজারে ৮-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারের অনুমতির (আইপি) সময়সীমা গত ৫ মে শেষ হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম বলেন, গেল ৫ মে পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারের অনুমতির (আইপি) মেয়াদ শেষ হয়েছে। এদিকে আবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১-৬ মে পর্যন্ত স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ ছিল। এ কারণে ওই সময়ে পেঁয়াজ আমদানির ইচ্ছা থাকলেও আমদানি করা যায়নি। এখন আগের আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে হয়ত সেটাও শেষ হয়ে যাবে। দাম যাতে বেশি না বাড়ে সেজন্য আমরা ইতোমধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি। তবে এখনও অনুমতি মিলেনি।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, বন্দরের গুদামে ও আড়তে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তাতে দাম বাড়ার কারণ দেখি না। কোরবানির ঈদ আসছে। এই ঈদে পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদা থাকে। তাই ঈদে যেন দাম না বাড়ে সেজন্য আগে থেকেই আমরা সরকারের কাছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতির জন্য আবেদনের পক্রিয়া শুরু করেছি। আশা করছি সরকার বিবেচনায় নেবে।
বন্দরের মোকামে পাইকার সেলিম বলেন, মঙ্গলবার মোকামে পেঁয়াজের দাম চাচ্ছে ২০ টাকা। আবার কোউ ২৫ টাকাও দাম হাকাচ্ছে। ঈদের আগে ১৪-১৫ টাকা কেজি দরে কিনেছি। বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, গত ২৯ মার্চ থেকে ৫ মে পর্যন্ত ভারত থেকে ২০১টি ট্রাকের মাধ্যমে ৫ হাজার ৫৬২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী ইউসুফ আলী জানান, গত ২৯ মার্চ পেঁয়াজের ইমপোর্ট পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু রমজান মাস কাছাকাছি এলে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৫ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সেই সময়ও অতিবাহিত হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে চলমান কোনো ইমপোর্ট পারমিট নেই। যার কারণে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।