নিউজ ডেষ্ক- অবশেষে নানা ঘটনার পর এখন মরিয়ম মান্নান তার মায়ের আত্মগোপনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। যদিও তার করা মামলায় চারজন কারাগারে রয়েছেন এখনো। আদালত ও পুলিশের কাছে রহিমা বেগম অপহৃত হয়েছিলেন বলে নিজে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রত্যাহারে আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তার মেয়ে। নিখোঁজের পর উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগমকে নিয়ে খুলনা থেকে ঢাকায় চলে এসেছেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
এর আগে গত রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খুলনায় আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর রওনা হয়ে রাত আড়ইটার দিকে ঢাকায় পৌঁছান তারা। গত সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মরিয়ম মান্নান। তিনি বলেন, গতকাল মাকে নিয়ে বয়রার বাসায় গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে মায়ের জন্য নিরাপদ মনে হয়নি। তাই রাতেই মাকে নিয়ে ঢাকায় আসি।
এদিকে মাকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসা মরিয়ম গতকাল বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমকে বলেন, তার মায়ের বান্দরবান ও ফরিদপুরে যাওয়ার তথ্য পেয়েও তখন তা অবিশ্বাস করেছিলেন তিনি। তবে এখন তিনি নিশ্চিত, তার মা রহিমা বেগম অপহরণ হননি, তিনি আত্মগোপনেই ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা যদি জানতাম মা আত্মগোপনে, তাহলে তাকে খুঁজতে এত জায়গায় যেতাম না।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট মরিয়মের মা রহিমা খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বাড়ি থেকে গত ২৭ আগস্ট রাতে নিখোঁজ হন। মাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন, সংবাদমাধ্যমে নানা সাক্ষাৎকার ও ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আলোচনায় মরিয়ম মান্নান।
মায়ের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে বরাবরই তিনি প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমির বিরোধের বিষয়টিকে দায়ী করে আসছিলেন। রহিমা নিখোঁজের পরদিন দৌলতপুর থানায় অপহরণের মামলা করেন তার আরেক মেয়ে আদুরী আক্তার। গত ২২ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে ১২ দিন আগে উদ্ধার হওয়া এক নারীর মরদেহকে রহিমা বেগমের বলে দাবি করেন মরিয়ম।
পরদিন শুক্রবার সকালে বোনদের নিয়ে ফুলপুর থানায় লাশ শনাক্ত করতে যান তিনি। এরপর শনিবার রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।