নিউজ ডেস্ক: গাজীপুরের শ্রীপুরে কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ডেকে এনে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুকুর থেকে ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নয়ন শেখ (২৮) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আব্দুল কাদিরের ছেলে। তিনি কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। অভিযুক্ত খাইরুল ইসলাম মীর (৩৫) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে। খাইরুল মীর কাওরাইদ ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী।
স্হানীয়রা জানায়, নিহত নয়নকে আওয়ামী লীগ অফিসে ঢেকে এনে মারধর করার সময় আত্মরক্ষার্থে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পার্শের পুকুরে ঝাপ দেয় নয়ন।পরে খাইরুল মীরের লোকজন দা লাঠি নিয়ে ওই পুকুরের পানিতে পিটিয়ে হত্যা করে নয়নকে।
নিহত নয়নের বড় ভাই রতন মিয়া জানান, বিকালে কাওরাইদ বাজারে কাওরাইদ কেএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা খাইরুলের ছেলে অনুভব (১৪)’র সঙ্গে মাঠের অন্যান্য ছেলেদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে মাঠের অন্যান্য ছেলেরা ছাত্রলীগ নেতা নয়ন বিষয়টি জানিয়ে বিচার দেন। পরে নয়ন অনুভবকে ডেকে এনে শাসন করে নয়ন।
কিছু সময় পর অনুভবের বাবা খাইরুল অনুভবকে শাসন করার কারণ জানতে চান। এনিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ডেকে আটকে রেখে লাঠিসোঠা দিয়ে মারধর করা হয়। এসময় নয়নের মাথা ফেটে যায় বলে তিনি জানান।
খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশের পুকুর থেকে নয়নের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা জানান, নয়নকে আওয়ামীগ কার্যালয়ে ডেকে আনার পর তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এময় তার মাথা ফেটে যায়। শরীরের একাধিক জায়গাতেও তাকে মারা হয়। এসময় সে দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পেছন থাকা পুকুরে পরে যায়।
স্থানীয়রা আরো জানান, নয়নকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ডেকে আনার আগে খাইরুল অনুসারীরা কাওরাইদ বাজারে লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইমতিয়াজ মাহফুজ জানান, নিহতের মাথায় কোপের চিহ্ন ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিদ আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।