নিউজ ডেষ্ক- পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের বিরোধ এবার প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও উপজেলা চেয়ারম্যানের পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে রবিবার সন্ধ্যায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর দুই দলের মধ্যকার বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর পৌর শহরে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যার ফলে কোনো সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। সাধারণ নেতাকর্মীদের সূত্রে এমনটাই জানা যায়।
এদিকে যে কোন ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান গলাচিপা থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম। এ ঘটনায় দুই গ্রুপ আলাদা থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এদিকে উপজেলা আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, চেয়ার ছোড়াছুড়ি, ইটপাটকেল, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। গতকাল (রবিবার) সন্ধ্যায় সোয়া ৬টার দিকে আওয়ামী লীগের উপজেলা কার্যালয়ের মধ্যে দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাহিন এবং পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিন গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে চার সাংবাদিক ও এগারো নারী কর্মীসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ঘটনার মধ্য দিয়েই উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ সাহিন ও পৌর মেয়র আহানুল হক তুহিনের বিরোধ এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। আর এ ঘটনার পর থেকে শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টিটো বলেন,“ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটেছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক।”
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে বলেন, “ব্যক্তিগত আচরণের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কারো ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব উপজেলা আ.লীগ নেবে না। উপজেলা চেয়ারম্যানের সংশোধনের এখনো সুযোগ রয়েছে। বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের অবহিত হয়েছে। জেলা কমিটি তদন্ত করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”