নিউজ ডেষ্ক- ২৪ ঘণ্টা আগেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তিনি। এই জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অবস্থায় নেই। আপাতত ক্রিকেট থেকে বিরতি চেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিবের এমন কথার পর পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়লেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ডপ্রধান জানতে চাইলেন, আইপিএলে সুযোগ পেলেও কী এই অজুহাত দিতেন সাকিব?
সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিবের ব্যাপারে বিসিবিপ্রধান বলেন, ‘মনে হচ্ছে সে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। দুদিন সময় নিয়েছে। সে জানাক, তারপর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’
সাকিবের মন্তব্য নিয়ে মোটেই বিচলিত নন বোর্ডপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা মোটেও বিচলিত নই। ও হয়তো মানসিক, শারীরিকভাবে ডিস্টার্বড। ওর যদি সমস্যা হয় আমাদের জানাতে পারে। বিমানবন্দরে বলে না দিয়ে সে তো দিনের বেলায় আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারত। কোচের সঙ্গে কথা বলতে পারত। সুজনের সঙ্গে কথা বলতে পারত। হঠাৎ করে এভাবে চমক দেওয়া, কেন করছে—অনেকে এটা পছন্দ করেনি।’
নাজমুল হাসান আরও বলেন, ‘সাকিব বলছে আফগান সিরিজে সে উপভোগই করেনি। আমরা যে জিতেছি সে উপভোগই করেনি। কেন? তার যদি অফ ফর্ম থাকত, সে বলত, খেলব না! সমস্যাটা কোথায়? খেলার পর যদি বলে উপভোগ করেনি, আগ্রহ নেই, মোটিভেশন নাই, তাহলে আমাদের বলো যে, আগ্রহ নেই। তাহলে খেলো না।’
যদি আইপিএলে দল পেতেন তাহলে কী সাকিব এমন অজুহাত দেখাতেন? পাপনের কথায়, ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে সে আইপিএল খেলত কীভাবে? যদি ওকে আইপিএলে নিত তাহলে বলত আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত?’
বিবিসিপ্রধান বলেন, ‘আমি চাই সবাই খেলুক। আমাদের যারা সিনিয়র, সবাই খেলুক। খেলার সিদ্ধান্ত তাদের। কেউ না খেললে জোর করছি না। কিন্তু আগেই জানিয়ে দাও যাতে প্ল্যান করতে পারি। ওখানে সবাই অভিযোগ করছে। টিম ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক, কোচ অভিযোগ করছে। সাকিব যে মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট না সেটা তো কাল জানলাম। আমরা তো কেউ টের পাইনি। জানি না, এগুলো আগে বলে ফেললে অসুবিধা কী?’
গতকাল রোববার সাকিব আল হাসান বলেন, ‘সদ্যসমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজ আমার কাছে হতাশাজনক। আমার যে চাওয়া ছিল, সে অনুযায়ী ভালো পারফর্ম করতে পারিনি। আর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে বলতে হয়, আমি মানসিক এবং শারীরিক যে অবস্থানে আছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাটা খুব একটা সম্ভব নয়। যদি একটা বিরতি পাই, আগ্রহটা ফিরে পাই, তাহলে আমার জন্য খেলাটা সহজ হবে। আমার জন্য ভালো হয়।’
বাংলাদেশী তারকা আরো বলেন, ‘আমি আফগানিস্তান সিরিজ এনজয় করতে পারিনি। আমি চেষ্টা করেছি, কিন্তু হয়নি। আমার কাছে মনে হয়েছে, সিরিজে আমি শুধুই ‘প্যাসেঞ্জার’ ছিলাম। এই অবস্থায় আমি একদমই থাকতে চাই না। এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলাটা ঠিক হবে না আমার জন্য।