নিউজ ডেষ্ক– পিরোজপুরের নাজিরপুরে অসহায় এক ব্যক্তির ছাগল চুরি করে ভুরিভোজ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মচারীরা। আর এ ঘটনায় ছাগলের মালিক ভুক্তভোগী আব্দুল লায়েক ফরাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আজ (মঙ্গলবার) একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে চলতি মাসের ১৯ তারিখ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ নিয়ে গত তিনদিন ধরে নাজিরপুরসহ জেলাব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী লায়েক ফরাজী উপজেলা সদরের আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন একটি ছোট দোকানে চা বিক্রি করে সংসার চালাতেন। আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার কারণে দোকানের পাশাপাশি তিনি কয়েকটি ছাগল পালন করেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগীর একটি ছাগল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে উদাও হয়ে যায়। পরে চুরি হওয়া সেই ছাগলের চামড়া স্থানীয় ঋষি (চামড়া ক্রেতা) বিশ্ব নাথের কাছ থেকে গত সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে এক পুরুষ চিকিৎসক জানান, “ওই রাতে আমি ও আমার আর এক সহকর্মী একইসাথে হাঁসের মাংস দিয়ে রুটি খাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ স্যার এসে আমাদের ডেকে নিয়ে যান”।
এওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা প্রত্যক্ষদর্শী মো. সজল হোসেন হাওলাদার বলেন,“গত শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে তিনি তার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে প্রসবজনিত কারণে হাসপাতালের দোতালায় কেবিনের পাশের একটি কক্ষে অবস্থান কনে। আর এ সময় ওই হাসপাতালের ঝাড়ুদার আবুল বাশারসহ তিনজন মিলে একটি ছাগল দোতলায় নিয়ে হাসপাতালের কেবিনের একটি টয়লেটে আটকে রাখে। আমি তাদের নিষেধ করা সত্যেও তারা একটি বটি দিয়ে সেটি জবাই করে বাজারের শপিং ব্যাগে করে নিয়ে যায়”।
আর এ বিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান জানান, “ আমরা ভুক্তভোগী মো. আব্দুল লায়েক ফরাজীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তিনি অভিযোগটি উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছেও করেছেন বলে তিনি জানান।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফুজ্জামান জানান, ছাগলের ব্যাপারে একটি অভিযোগ এসেছে বলে শুনেছি। আমি থানায় ছিলাম না তাই এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়নি।