গত দুই দিন সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একটি ভিডিও নিয়ে জোর চর্চা চলছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ঢাকার একটি রাস্তায় কয়েকটি গাড়ি পার্কিং করা। তরুণ, যুবকরা আড্ডা দিচ্ছে। এদের মধ্যেই একজন অভাসবশত কিংবা শখে মোবাইলের ভিডিও ক্যামেরা চালু করে কিছু একটা ধারণ করার চেষ্টা করছে, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ক্যামেরার ফ্রেমে ঢুকে পড়ে একটি কালো রঙের প্রাইভেট কার।
ভিডিওটি দেখলে মনে হবে হয়তো কোনো সিনেমার দৃশ্য। কিন্তু ঢাকার রাস্তায় অনিয়ন্ত্রিত গতিতে প্রাইভেট কার চালায় কিছু কিশোর তরুণ বা যুবক, এটি তারই অংশ। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে এমন অভিযোগ হামেশাই আসে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাইবার পেট্রোলিংয়ের অংশ হিসেবে ভাইরাল ভিডিওটি তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের নজরে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি অধীনস্থ সব পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রাইভেট কারটির চালককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। পুলিশের তৎপরতায় প্রাইভেট কার ও চালককে আটক করা সম্ভব হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে (ঢাকা-মেট্রো গ-৩৫-২২৬৩) প্রাইভেট কারটি হেফাজতে নেয় হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এরপর রাত ৩টা ৪০ মিনিটে মেহেরপুর জেলা পুলিশের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন হাট বোয়ালিয়া নতুন বাজার এলাকা থেকে তাসকিনকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।
বেপরোয়া গাড়িচালকের পরিচয়
বেপরোয়াভাবে এইভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল যে তার নাম তাসকিন। ফেসবুকে নামটা একটু নকশা করেই ইংরেজি হরফকে ওপর-নিচ করে লিখেছে। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে দেখা যায়, পেশা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর লেখা, অর্থাৎ ইউটিউব বা টিকটক কন্টেন্ট বানানোই তাসকিনের কাজ। অবশ্য এটাই তার মূল কাজ নয়, পড়াশোনাও করে তাসকিন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাফিজ আল ফারুক জানিয়েছেন, প্রাইভেট কারের চালক তাসকিনের বাসা রাজধানীর মগবাজারে। সে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।