কেনাকাটা বা শপিং করা মানুষের শখ। কিন্তু সেটি যদি অতিরিক্ত হয়, তাহলেই বিপদ।
অনেকে আছেন যারা সারাক্ষণই অনলাইনে কিছু না কিছু কেনার চেষ্টায় থাকেন। জামা, জুতা, এক্সেসরিজ তো বটেই, নানা অপ্রয়োজনীয় জিনিসও তারা কিনে ফেলেন। যারা প্রতিনিয়ত অনলাইনে এমন কেনাকাটায় অভ্যস্ত, তাদের অনেকেই মানসিক বিকারগ্রস্ত।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এমন ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষা বলছে, যারা এ ধরনের কেনাকাটা করে থাকেন তাদের বেশির ভাগই নাকি মানসিক সমস্যায় জর্জরিত, ডিপ্রেশনে ভোগেন। তারা নিজেদের অজান্তেই এমন কাজ করে থাকেন। এ কেনাকাটায় কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। একে বলা হচ্ছে বাইং-শপিং ডিসঅর্ডার (বিএসডি)।
একশ’ ২২ জনের ওপর চালানো একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের বেশির ভাগই সর্বদাই অনলাইন কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন। প্রতি সপ্তাহে নতুন কিছু চাই তাদের। আসলে আর কিছু না, এটা এক রকম মানসিক ব্যাধি। কোথাও গিয়ে তারা একাকিত্ববোধ করেন। তাই কেনাকাটা, সাজগোজ, বাড়ি সাজানো, পাপোশ বদলানোর মধ্যে দিয়ে নিজেদের মন অন্যদিকে ব্যস্ত রাখেন। যা নিজেরাও টের পান না।
চিকিৎসকরা বলছেন, এ রোগ শুরুতেই সামাল দিতে না পারলে পরিস্থিতি অন্য দিকে যেতে পারে। যারা সারাক্ষণ অনলাইনে কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন তাদের অবিলম্বে কাউন্সেলিং করানো উচিত।
এ রোগ থেকে মুক্তির জন্য যা প্রয়োজন:
এ বিষয়ে প্রয়োজন পরিবারের সহযোগিতা। কাছের আত্মীয় বন্ধুদের বোঝাতে হবে যা করছেন তা ঠিক করছেন না। এদের ব্যবহারের পরিবর্তন প্রয়োজন আগে ।
‘কগনেটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি’র মধ্যে দিয়ে গেলে অনেকাংশে তা সেরে যায়। প্রয়োজন মতো নিজের ফোন থেকে কিছু অ্যাপ আনইন্সটল করুন।
আমাদের মনে রাখা উচিত একটা জুতা কিংবা জামা কখনোই আমাদের জীবন বদলে দিতে পারবে না।