আটককৃত পুলিশ সদস্য চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কচুয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন। তার ব্যাচ নং-৭৪৩।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সদস্য জিয়া উদ্দিন পারভেজ পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলা বাজার থেকে একটি অটোরিকশা ভাড়া নেয়। একপর্যায়ে ওই অটোরিকশা যোগে পার্শ্ববর্তী চরফকিরা ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় গেলে অটোচালকের চোখে মুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে রিকশা ছিনিয়ে নেন তিনি। এরপর রিকশা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা বাজার এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।
ওই সময় ভুক্তভোগী অটোচালকের চিৎকারে এগিয়ে এসে ওই পুলিশ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি মরিচের গুড়ার পলিথিন উদ্ধার করেন তারা। পরে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের একাধিক সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য শুনে পুলিশে খবর দেন।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন জানান, গতকাল রোববার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে রাত ১২টার দিকে স্থানীয় লোকজন আটক ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৩১ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ি সংলগ্ন মহিষের ডগি থেকে অটোচালক বলরামের (১৫) হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি।