নিউজ ডেস্ক: চিত্রনায়ক ফেরদৌস বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও তার বেশ জনপ্রিয় রয়েছে।কলকাতার অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সেখানে একসময় নিয়মিত সিনেমা করলেও গত আড়াই বছর ধরে ভারতে যেতে পারেননি ফেরদৌস। তবে ভারতের প্রবেশের নিয়ে শুক্রবার ফেরদৌস গণমাধ্যমকে সু খবর জানান।
২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনে একজন বাংলাদেশি হয়েও তৃণমূলের এক প্রার্থীর পক্ষে ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপির নেতাদের রোশের মুখে পড়েছিলেন ফেরদৌস। যার ফলে তার বিরুদ্ধে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ তোলে বিজেপি। এরপরই ক্ষমতাসীন দলটির আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশি নায়কের ভারতীয় ভিসা বাতিল করা হয়। যার ফলে ফেরদৌস আর ভারতে ভ্রমণ করে পারেনি।
অবশেষে দীর্ঘ আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর ভারতে যাওয়ার অনুমতি পেলেন ফেরদৌস। এই নায়কের প্রতি সদয় হয়েছে ভারত সরকার। তাকে আবারও ভিসা দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে ভারতের ভিসা হাতে পেয়েছেন তিনি। শুক্রবার ফেরদৌস গণমাধ্যমকে সু খবর জানান।
গণমাধ্যমদের ফেরদৌস জানিয়েছেন, একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে আড়াই বছরের বেশি সময় ভারতে ঢুকতে পারিনি। নিষেধাজ্ঞা শেষে ভারতের ভিসা পেয়ে ভীষণ আনন্দিত। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দুই দেশে একসঙ্গে কাজ করেছি। সব সময় বলতাম, কলকাতা আমার সেকেন্ড হোম।
বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়াটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো বলে মনে করছেন ফেরদৌস। নিজের ভুল স্বীকার করে এই অভিনেতা বলেন, অবশ্যই এটা আমার ভুল। আমি তো জানতাম না যে এমন কাজ করা যাবে না। আমাকে যারা নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়ে গেছেন, তারাও জানতেন না আমি সেখানে যেতে পারব না। এটা অবশ্যই ভুল।
১৯৯৮ সালে ভারতীয় পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমায় অভিনয় করেন ফেরদৌস। যার ফলে দুই বাংলাতেই অনেক জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেন তিনি। সেই সিনেমার জন্য প্রথমবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন ফেরদৌস।