এই আগুন দেখে যারা ভাবছেন আরেহ, এখানে তো আমার কোনো প্রডাক্ট নাই! তাদের জন্য দুঃসংবাদ

সারাদেশ

এয়ারপোর্টে আগুন মানে শুধু কয়েকটা পণ্য বা বিল্ডিংয়ের ক্ষতি নয়।এর মানে হলো ইমপোর্ট বন্ধ হয়ে যাওয়া,

শিপমেন্ট দেরি হওয়া,আর আগামী কয়েক মাসে ইমপোর্টেড জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া। যারা পোশাক, কসমেটিকস, হ্যান্ডক্রাফট, আর্ট, বা যেকোনো বিদেশি উপাদাননির্ভর কাজে যুক্ত,

তাদের প্রত্যেকের ওপর এর প্রভাব পড়বে ,সরাসরি বা পরোক্ষভাবে।

এখন এই আগুনের পর ইমপোর্টাররা শিপমেন্ট আনতে ভয় পাবেন,নতুন করে মাল আনতে খরচও বেড়ে যাবে।

ফলে যারা এসব উপাদান দিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য সামনের সময়টা হবে আরও কঠিন। এরকম অবস্থায় ক্ষতি শুধু ব্যবসায়ীদের নয়,শিল্পী, ডিজাইনার, ক্রাফট মেকার, এমনকি সাধারণ ক্রেতাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

কারণ, সবকিছুর দাম বেড়ে গেলে চেইন সিস্টেমে সবখানেই চাপ পড়ে।

আগুন শুধু একটা স্থাপনায় নয়, এটা পুরো দেশের অর্থনীতি, রিজিক আর সৃজনশীলতার ওপরও আগুন ধরিয়ে দেয়।
ছাইয়ের নিচে চাপা পড়া স্বপ্ন

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি কেবল একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি হাজারো ব্যবসায়ীর বুকে এক গভীর ক্ষত। চোখের নিমিষে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে শত শত কোটি টাকার আমদানি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য। ​এই পণ্যগুলো ছিল অনেক ছোট-বড় ব্যবসায়ীর দীর্ঘদিনের পরিশ্রম আর সঞ্চয়ের ফসল। কেউ ব্যাংক ঋণ নিয়ে, কেউবা জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিনিয়োগ করে অপেক্ষায় ছিলেন লাভের মুখ দেখার। কিন্তু এক নিমেষে সব স্বপ্ন ধোঁয়ার সাথে মিশে গেছে। এই ক্ষতি কেবল টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা যায় না; এর পেছনে রয়েছে বহু মানুষের জীবন-জীবিকা এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *