বগুড়ার শাজাহানপুরে পূজার আনন্দে বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুজন।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকালে শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার দুপুরে নতুন করে আরও দুজন মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মৃতরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমান মন্ডলের ছেলে মিজানুর রহমান মন্ডল লিটন (৫০), খোট্টাপাড়া সোনারপাড়া গ্রামের সোনার আবদুল হান্নান খোকার ছেলে নাছিদুল ইসলাম (২৭) ও খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়ার সুলতান মাহমুদের ছেলে আবদুল মানিক আকন্দ (৩০)। লিটন ওই ইউনিয়নের ২নং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য আলেয়া বেগমের স্বামী।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুজন হলেন- খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আবদুল্লাহ আল কাফী (৩০) ও একই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়া (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শারদীয় দূর্গাপূজার দশমীর দিনে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া মধ্যপাড়া সনাতন ধর্মশালা পূজামণ্ডপের পাশে বেলতলা এলাকায় লিটন, নাছিদুল, আবদুল, আবদুল্লাহ ও আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়া মদপান করেন। বাড়িতে ফেরার পর ৩ অক্টোবর সকাল থেকে তাদের বমি ও পেট ব্যথা শুরু হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, পূজার আনন্দে তারা মদপান করেছিল। এজন্য শরীর অসুস্থ হয়েছে। স্বজনরা অসুস্থ পাঁচজনকে পর্যায়ক্রমে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ অক্টোবর রাতে লিটনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নাছিদুল ইসলাম ও শুক্রবার দুপুরে আবদুল মানিক আকন্দের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল্লাহ আল কাফী রঞ্জু মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, মৃত দুজনের লাশ উদ্ধার করে ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।