নিউজ ডেষ্ক- পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে (১০) নিজের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বরখাস্ত হচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার।
বাল্যবিয়ের এ ঘটনায় তার জড়িত থাকার সত্যতা পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, ‘সোমবার সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত শিক্ষিকা বিষয়টি স্বীকার করে লিখিত দিয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া বলেন, ‘স্কুলশিক্ষিকা তার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলের সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুলছাত্রীর বিয়ে দিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছেন।
একই সঙ্গে অপরাধ করেছেন। আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক ওই শিক্ষিকার সাময়িক বরখাস্তের চিঠি হাতে পাবো। এরপর তাকে বরখাস্ত করা হবে।’ উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের ওই কিশোরীর সঙ্গে দশম শ্রেণির ছেলের বিয়ে দেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার।
প্রথম কয়েকদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও পরে জানাজানি হয়। সোমবার সকালে বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, মেহেদি রাঙা হাতে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করছে ওই ছাত্রী। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।