বাড়ি থেকে একসঙ্গে পালিয়েছিলেন দুই চাচাতো বোন। নিখোঁজ থাকার কয়েক দিন পর নিজেরাই এলেন ফিরে। সবাইকে চমকে দিয়ে জানালেন, তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করেছেন এবং এখন থেকে একসঙ্গেই থাকতে চান।
সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই দুই চাচাতো বোনের মধ্যে এক জনের বাবা কন্যার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁর এক ভাইয়ের মেয়ে তাঁর কন্যাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়েছেন। মেয়েকে পাচার করা হয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছিল পুলিশ। কিছু দিনের মধ্যেই পুলিশ ওই তরুণীর খোঁজ পায়। তাঁকে ফিরে আসার কথা বলে পুলিশ। নিরাপত্তার আশ্বাসও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ তিন মিনিট উড়েই আবাসিক ভবনে আছড়ে পড়ল বিমান, নিহত ৬
তাদের কথায় আস্থা রেখে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরেন দুই বোন। তবে নবদম্পতির বেশে। তাঁদের মধ্যে একজনের পরনে ছিল বরের পোশাক। অন্য জন ছিলেন কনের সাজে; মাথায় সিঁদুরও ছিল। এলাকায় ফিরে সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন দু’জনেই। পুলিশের কাছে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যেরাও উপস্থিত হন থানায়।
দুই বোন পুলিশকে জানান, বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা। একে অপরকে ভালবাসেন এবং বাকি জীবনটাও একসঙ্গেই কাটাতে চান। থানায় আসার আগে তাঁরা বিয়ে করেছেন বলেও জানান। এর পর থানায় উপস্থিত আত্মীয়স্বজনেরা তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে এবং পরিবারের সঙ্গে থাকার আবেদনও জানানো হয়। কিন্তু দু’জনেই মত পরিবর্তন করতে অস্বীকৃতি জানান। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ তাঁদের দু’জনকেই থানা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই চাচাতো বোনের মধ্যে যিনি ছোট, তিনি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বড় জন পড়াশোনা করেছেন দশম শ্রেণি পর্যন্ত। তাঁদের এক জন পুলিশকে জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে বোঝাপড়াও তৈরি হয়েছে। আগে তাঁরা একে অপরের বোন ভাবলেও এখন ‘সঙ্গী’ মনে করেন।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে।
উল্লেখ্য, ভারত সমলিঙ্গ বিবাহ আইনত স্বীকৃত নয়। যদিও সমলিঙ্গ সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।