সাকিব না পেলেও ঠীকই দল পেয়েছেন মুস্তাফিজ

খেলা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৫তম আসরের মেগা নিলামে সাকিব আল হাসান অবিক্রিত থেকে গেলেও দল পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২ কোটি ভিত্তিমূল্যে বাংলাদেশ পেসারকে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম ডাক দেয় দিল্লি, পরে আর কোনো দল আগ্রহ না দেখানোয় তাকে পেয়ে যায় আইপিএলের দলটি।

এখন পর্যন্ত চারবার আইপিএলে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার। আসরটিতে দিল্লি তার চতুর্থ দল। মুস্তাফিজের আইপিএল অভিষেক ২০১৬ সালে। এই আসরে প্রথমবারের মতো নিলামে ওঠেন মুস্তাফিজ। সেবার ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি দিয়ে তাকে দলে ভেড়ায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

আইপিএলে নিজের প্রথম আসরেই বল হাতে বাজিমাত করেন মুস্তাফিজ। বল হাতে ১৭ উইকেট নিয়ে জেতেন সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার। তার দারুণ পারফরম্যান্সে দলও জেতে শিরোপা।

পরের আসরেও হায়দরাবাদের হয়ে খেলেন বাংলাদেশের এই পেসার। তবে এই আসরে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরা হয়নি তার। পরের বছর তাকে ছেড়ে দেয় হায়দরাবাদ। ২০১৮ আইপিএলে ২ কোটি ২০ লাখ রুপিতে তাকে দলে ভেড়ায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

মুম্বাইতেও আলো ছড়াতে পারেননি মুস্তাফিজ। ৭ ম্যাচে ৭ উইকেট নেয়া এই পেসারের বেশিরভাগ সময় কাটে সাইড বেঞ্চে। মুম্বাইও তাকে ছেড়ে দেয়। ২০২০ সালের আইপিএলে তাকে দলে নিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স আগ্রহ প্রকাশ করলেও বাংলাদেশ দলের শ্রীলংকা সফরে যাওয়ার কথা থাকায় আইপিএল খেলার অনুমতি পাননি মুস্তাফিজ।

২০২১ আইপিএলে ১ কোটি রুপিতে তাকে দলে ভেড়ায় রাজস্থান রয়্যালস। দলটির হয়ে মুস্তাফিজ নিজেকে ফিরে পান। ১৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ পেসার ছিলেন দলটার অন্যতম সেরা বোলার। এবার তার ঠিকানা হলো দিল্লিতে। আইপিএলে ৩৮ ম্যাচে মুস্তাফিজের নামের পাশে আছে ৩৮ উইকেট।

বেঙ্গালুরুতে চলমান দুইদিনব্যাপী নিলামের প্রথম দিনে দল না পেলেও সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি সাকিবের। নিলামের দ্বিতীয় দিনে অবিক্রিত ক্রিকেটারদের একটা তালিকা দেওয়া হবে। সেই তালিকার কোনো ক্রিকেটারের প্রতি কোনো দল আগ্রহ দেখালে তার নাম আবারও নিলামে তোলা হবে। তেমন হলে দল পেতেও পারেন বিপিএলে দারুণ ছন্দে থাকা সাকিব।

সাকিব, মুস্তাফিজসহ এবারের নিলামে পাঁচ বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম আছে। বাকি তিন ক্রিকেটার হলেন লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। তাদের মধ্যে কারও নাম এখনও নিলামে ওঠেনি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *