মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে। মার্কিন হামলার পাল্টা জবাবে ইরান ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় দুই দফায় বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে ইসরায়েলের অন্তত ৮৬ জন মানুষ আহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা মাঝারি, ৭৭ জন সামান্য আহত, চারজন চরম মানসিক আঘাতে কাতর এবং তিনজনের শারীরিক অবস্থা এখনো নিরূপণ করা যায়নি। আহতদের সেবা দিতে তেল আবিব ও আশপাশের হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসনের জবাবে তারা এই হামলার ২০তম দফা পরিচালনা করেছে। এতে দূরপাল্লার তরল ও কঠিন জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্যে ছিল উচ্চমাত্রার বিধ্বংসী ওয়ারহেড।
হামলায় ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, একটি জৈব প্রযুক্তি গবেষণা কেন্দ্র, লজিস্টিক ঘাঁটি ও বিভিন্ন সামরিক কমান্ড সেন্টার ছিল লক্ষ্যবস্তু। এছাড়া তেল আবিব, নেস সিওনা এবং হাইফার আবাসিক এলাকাগুলোতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
হামলার পরও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহরগুলোর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো। বিশেষ করে একটি বৃদ্ধনিবাস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে উদ্ধারকাজ জটিল হয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকট বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে উঠে। স্থানীয়রা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাসিন্দারা প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এলাকা ছাড়তে শুরু করেন। ধসে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলো থেকে নিরাপত্তা বাহিনী মানুষ সরিয়ে নিচ্ছে।
এই হামলার মাধ্যমে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে নিজের প্রতিক্রিয়া কঠোরভাবে জানিয়ে দিলেও, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর প্রতিক্রিয়া কী হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে।