নিউজ ডেষ্ক- দুই বছর আগে এক ছেলের বউ চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন। সেই ঘটনা ‘সামাল’ দিতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। এবার আত্মহত্যা করেছেন নিজের ছেলে। এবার আর কোন ধরনের ‘ঝামেলা’ পোহাতে চান না বাবা-মা। কেননা একই সময়ে চলছে নির্বাচন। সেখানে মা করুণা বেগম লড়াই করছেন সংরক্ষিত সদস্য পদে। এমন সময় ছেলের আত্মহত্যার প্রভাব পড়তে পারে নিজের নির্বাচনী প্রচারণায়। সেই চিন্তা থেকেই ছেলের লাশ উদ্ধার করে ‘গোপনে’ সেপটিক ট্যাংকে চাপা দিয়ে রেখে দেন বাবা-মা। এরপর নেমে পড়েন নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণায়।
কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। নিহতের বাবা নিজেই বিষয়টি চার দিন পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দেন। এরপর আজ (শুক্রবার) দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার এবং নিহতের বাবা ও মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায়। নিহত করিম (১৮) শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নরিনা পূর্বপাড়ার আলহাজ হোসেনের ছেলে। নিহতের মা করুণা বেগম চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী পদে লড়াই করছেন। ছেলের লাশ চাপা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নিজেকে ব্যাস্ত রাখেন।
এ বিষয়ে নিহতের মা করুনা বেগম জানান, “মেজো ছেলে করিম দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিল। মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে করিম তার নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। পরদিন ভোরে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে ছোট ছেলের ঘর থেকে উঁকি দিয়ে দেখেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এরপর স্বামী-স্ত্রী মিলে ছেলের লাশ নামিয়ে বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন।”
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধারের পর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। শনিবার লাশটি সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।