জাহানারা অস্ট্রেলিয়ায়, সুবিচার চান রুমানা

Uncategorized

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রুমানা আহমেদের ইংরেজিতে লেখা ৬৪ শব্দের একটি পোস্টে যুগপৎ রাগ-ক্ষোভ-হতাশার বিস্ফোরণ ঘটেছে। মঙ্গলবার সেই পোস্টে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের এই অলরাউন্ডার তিন বছর তাকে ব্রাত্য করে রাখার সুবিচার চেয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তাব্যক্তিদের (তার ভাষায় শ্রদ্ধেয় অভিভাবক) কাছে তিনি চান চূড়ান্ত বিহিত। রুমানা লিখেছেন, ‘আমি খেলি কিংবা না খেলি, এভাবে অনৈতিকতা ও নৈরাজ্য চলতে পারে না।’ কোনো কারণ ছাড়া তিন বছর তাকে দলের বাইরে রাখা নিছক কৌতুক নয়, এও লিখেছেন খুলনার এই ডান-হাতি অলরাউন্ডার। ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত রুমানা বাংলাদেশের হয়ে শেষবার খেলেছেন গত বছর জুলাইয়ে শ্রীলংকায় টি ২০ এশিয়া কাপে।

‘আমার রেকর্ড বলে দেয় যে, আমি কখনো বাজে ক্রিকেট খেলিনি। কখনো কোনো অনৈতিক কাজও করিনি। দলের একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হওয়া কখনো অভিশাপ হতে পারে না,’ তার বাক্যবিন্যাসে ক্ষোভ-হতাশা স্পষ্ট। সবশেষে রুমানা লিখেছেন, ‘যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে, আমি নিশ্চিতভাবে তার ন্যায়বিচার চাই।’

এ বিষয়ে রুমানা কাল যুগান্তরকে বলেন, ‘তিন বছর ধরে খুলনা ও ঢাকায় একা অনুশীলন করছি। বিসিবির ইনডোরে প্র্যাকটিসের সুযোগ পাই না। আমরা নারী ক্রিকেটাররা নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাই শুধু দুটি ঘরোয়া আসরে-জাতীয় লিগ ও প্রিমিয়ার লিগ। এই সীমিত সুযোগ সত্ত্বেও আমি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি একা। দুঃখ পাই যখন এত প্র্যাকটিস করেও সুযোগ পাই না।’ এই বিষয়ে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপন বলেন, ‘আসলে, ফেসবুকের পোস্ট নিয়ে আমি কোনো কমেন্ট করতে চাচ্ছি না।’

এদিকে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ পেসার জাহানারা আলম অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী হয়েছেন। ঘনিষ্ঠজনদের কাছে তিনি বলে গেছেন, তাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। তাই দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি দেশ ছেড়েছেন। জাহানারা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন। বিসিবির একটি সূত্র জানায়, যাওয়ার সময় জাহানারা বলে গেছেন, তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তিন-চার মাস পর ফিরবেন। কিন্তু ছয় মাস কেটে গেলেও তিনি ফেরেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *