মালয়েশিয়া থেকে যে সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

জাতীয়

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমবাজার নিয়ে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির খবর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব তথ্য জানান।

ড. আসিফ জানান, দুই দিন আগে মালয়েশিয়া পৌঁছেই তিনি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মানবসম্পদমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর মধ্যে প্রথম দুজনের সঙ্গে ছিল আনুষ্ঠানিক বৈঠক এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা। এসব বৈঠকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করা হয়।

তিনি বলেন, “গত বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরে এসে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কারণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন—যেসব শ্রমিক শেষ মুহূর্তে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাদের সুযোগ করে দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে প্রথম ব্যাচে ৭,৯২৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তারা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন।”

এছাড়া আগামী কয়েক মাসে মালয়েশিয়া ১ থেকে ১.৫ লাখ নতুন বিদেশি শ্রমিক নিতে পারে বলেও জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় আশ্বাস দিয়েছে।

ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, “আমরা অনুরোধ করেছি, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জন্য যেন প্রক্রিয়াটি উন্মুক্ত রাখা হয়। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।”

আরেকটি বড় অগ্রগতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশি শ্রমিকদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়ার বিষয়ে আমরা অনুরোধ করেছি। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু প্রতিশ্রুতি দেননি, সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।”

তিনি বলেন, অবৈধভাবে অবস্থান করা শ্রমিকদের বৈধতা (রেগুলারাইজেশন) দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। মালিকপক্ষের ত্রুটির কারণে অনেক শ্রমিকের ভিসা নবায়ন না হওয়ায় তারা সমস্যায় পড়েছেন—এই বিষয়টি আলাদাভাবে বিবেচনার অনুরোধ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সিকিউরিটি গার্ড, কেয়ারগিভার, নার্স ও দক্ষ কর্মী নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে এবং মালয়েশিয়া আগ্রহ দেখিয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

আসিফ নজরুল বলেন, “এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কূটনৈতিক বন্ধুত্ব এবং দিকনির্দেশনার কারণে। তার পরামর্শ ও উপস্থিতিতেই আমরা কাজ করছি। এছাড়া মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত স্পেশাল এনভয় লুৎফে ভাই ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ধারাবাহিক চেষ্টার ফলেই এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।”

শেষে তিনি বলেন, “আপনাদের দোয়ায় যেন আমরা আরও ভালো কিছু করতে পারি, সেই আশায় থাকলাম।”

সূত্র : জনকণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *