হঠাৎ করেই উধাও সালমান হত্যার আসামি সামিরা ও ডন, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

সারাদেশ

“খুনের আমি আসামি কোনদিনও ছিলাম না…” এই এক বাক্য যেন আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত মৃত্যু— নায়ক সালমান শাহের রহস্যময় পরিণতি।

প্রায় তিন দশক আগে ঘটে যাওয়া সেই মৃত্যু নিয়ে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। আত্মহনন নয়, এবার সেটি “হত্যা মামলা” হিসেবে আদালতে গড়িয়েছে। আর মামলার মূল আসামি সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক ও অভিনেতা ডন— এখন নিখোঁজ!

“আমি যে দৃশ্যটা দেখেছিলাম, সেটা কাউকে বোঝাতে পারবো না বলেই হয়তো আজ আমার বাসায় কোনো ফ্যান নেই…”
— বলেছিলেন সামিরা, এক পুরনো সাক্ষাৎকারে।

এই সাক্ষাৎকার এখন যেন আরও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। কারণ, আত্মহনন তত্ত্বে ধামাচাপা দেওয়া সেই মৃত্যুর গল্প আবারও জেগে উঠেছে ফিনিক্স পাখির মতো, আতঙ্ক ছড়িয়েছে অভিযুক্তদের মনে।

আদালত ইতোমধ্যেই দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ১০ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে, যার মধ্যে আছেন সামিরা ও ডনও।

কিন্তু মামলার নথি আদালতে উঠতেই হঠাৎ গায়েব তারা দু’জন। ফোন বন্ধ, হোয়াটসঅ্যাপ অচল, আর কোনো ঠিকানা মিলছে না— যেন সিনেমার গল্পও হার মানে এই বাস্তব কাহিনির কাছে।

এর আগে সামিরা দাবি করেছিলেন, “সালমান মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। আত্মহননের চেষ্টা করেছেন তিনবার।”

কিন্তু সালমান শাহর পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, “এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যা!” মৃত্যুর আগের দিন সালমান কাজ করছিলেন ‘প্রেম পিয়াসী’ সিনেমার ডাবিং নিয়ে। সহ-অভিনেত্রী শাবনূরের সঙ্গে ছিলেন তিনি। এরপর বাসায় ফিরে আসেন, এবং পরদিন— ঘটে যায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় মৃত্যু।

আজ, ২৯ বছর পর, সেই ঘটনা আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। ভক্তদের চোখে এটি শুধু একটি মামলা নয়, বরং ৯০ দশকের ঢালিউডের এক অমীমাংশিত অধ্যায়ের পুনর্জন্ম।

দেশজুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন—সালমান শাহ কি আত্মহনন করেছিলেন, নাকি সত্যিই খুন হয়েছিলেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *