সোহাগের মৃত্যু আজও একটি প্রশ্ন রেখে যায়

সারাদেশ

সোহাগের নামটা হয়তো এখন আর মুখে উচ্চারিত হয় না, আর তার কথা যেন আজকালকার কথোপকথনে হারিয়ে গেছে। কিন্তু তার মৃত্যু আজও আমাদের মাঝে এক অব্যক্ত প্রশ্ন রেখে গেছে—কেন এমন অমানবিকতা? কেন এক জন অসহায় মানুষের জীবন এত সহজে কেড়ে নেওয়া হলো?

সেই দিন, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের রাস্তায় সোহাগ নিস্বার্থভাবে জীবনের জন্য লড়ে যাচ্ছিল। অসংখ্য চোখ তার দিকে ছিল, কিন্তু কারও সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। বরং সে যন্ত্রণা, নির্যাতন, আর অবহেলার সাক্ষী হয়ে রইল সবাই। তারপরও, মৃত্যুর সেই নিঃশ্বাস ফেলা মুহূর্তটি আজও আমাদের হৃদয়ে প্রশ্ন জাগায়—মানবতা কোথায় হারিয়ে গেল?

সোহাগের মৃত্যু কেবল একটি ঘটনা নয়, এটি আমাদের সমাজের আড়াল করা বেদনা, আমাদের নীরবতার প্রতিফলন। আমরা কতটা দূরে গিয়ে দেখেছি? আমরা কি শুধু ভিডিও দেখেই সন্তুষ্ট? আমরা কি কখনো ভাবেছি, সোহাগের মতো হাজারো মানুষ আজও একই অবস্থা সহ্য করছে?

সোহাগের মৃত্যু আমাদের জন্য ডাক—একটা ডাক, যা আমরা শুনতে চাই না, যা আমরা টেরও পাই না। তার মৃত্যু আজও একটি প্রশ্ন রেখে গেছে, আর সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজে পেতে আমাদের সবাইকে একযোগে দাঁড়াতে হবে।

কখনো কি আমরা সত্যিই দৃষ্টিহীনতার খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে আসব? কখনো কি আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলব? সোহাগের মতো হারানো জীবনগুলো যেন বৃথা না যায়, সেই দায় আমরা নিজেরাই বহন করতে হবে।

আজ যখন সোহাগের কথা ভুলে যেতে বসেছি, তখনই আমাদের মনে রাখতে হবে—তার মৃত্যু শুধু একটি নাম নয়, এটি আমাদের মানবতার পরিচয়। আমরা কি সেই পরিচয় রক্ষা করতে পারব?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *