চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদের বাসা থেকে কোটি টাকার চেক এবং এফডিআরের কাগজ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় রিয়াদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। রিমান্ডে থাকা আসামিরা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজতে আছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিবি। এ ছাড়া রিয়াদের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের চেক, এফডিআরের কাগজ পাওয়া গেছে। এগুলো চাঁদাবাজির টাকা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিবির এক কর্মকর্তা।
শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলাটি করেন। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে গুলশান, বাড্ডা, বনানী এলাকার অনেকেই ফোন দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলছেন। আমরা লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি। কেউ নতুন করে অভিযোগ করলে, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই সকালে মো. আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ এবং কাজী গৌরব ওরফে অপু সিদ্দিক আবু জাফরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে বাসায় গিয়ে তার কাছে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তাদের ১০ লাখ টাকা দেন জাফর। গত শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বাসায় গিয়ে ফের বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন। জাফর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিয়াদসহ পাঁচজনকে আটক করে।