রাষ্ট্রপতি হতে পারেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল

রাজনীতি

‘চুপ্পু আউট, কে হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি?’—এই শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ফের আলোচনায় রাজনৈতিক বিশ্লেষক, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। ৩০ জুন রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একাধিক পোস্টে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব রাখেন।

একটি পোস্টে খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে পিনাকী লেখেন, “নতুন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি—যার হাতে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদার পতাকা সবসময় সুরক্ষিত থাকবে।”

এর কিছুক্ষণ আগে আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেন, “চুপ্পু যাইতেছে, কে হইতেছে নতুন প্রেসিডেন্ট? উত্তর পাইতে একটু অপেক্ষা করেন।”

পরে ‘চুপ্পু আউট, কে হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি’ শিরোনামে ভিডিও বার্তায় পিনাকী বলেন, “বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আমাদের ইতিহাসের মহানায়ক। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন মাথা উঁচু করে লড়াই করতে। বলেছিলেন, ‘ওদের হাতে গোলামির জিঞ্জির, আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা।’”

তিনি আরও বলেন, “খালেদা জিয়া আজ দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, এবার হবেন প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি।”

পিনাকীর দাবি, খালেদা জিয়া ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস—এই দুই অভিভাবক বাংলাদেশের ‘নতুন সূচনা’তে নেতৃত্ব দিতে পারেন। “খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন, কিন্তু আমরা তাঁকে কিছুই দিতে পারিনি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করে দেশ নিজেই সম্মানিত হবে,” বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার অধীনেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। “আমরা চাই, সংসদের সদস্যরা বেগম জিয়ার কাছেই শপথ নিক। তাঁর অভিভাবকত্বে এর চেয়ে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়।”

পিনাকীর এই বক্তব্য ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেউ একে যুগান্তকারী প্রস্তাব হিসেবে দেখছেন, কেউ আবার বলছেন—এটি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত। তবে এটুকু স্পষ্ট—বেগম খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাষ্ট্রপতির সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা এখন অনেকটাই জমে উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *