মিসাইল আসছে রাডার জানে না, ৫ দেশের মানচিত্র পেরিয়ে ভয়াবহ হামলা

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আয়রন ডোম বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ব্যর্থ করে তেল আবিবে অবস্থিত প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানে দফায় দফায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পর তেহরানের এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ শুরু হয়।

একপ্রান্তে ইরান আরেক প্রান্তে ইসরায়েল। মাঝখানে ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান, সৌদি আরব এবং কুয়েতের কিছু অংশ। সবমিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৭শ ২৪ কিলোমিটারের বিশাল দূরত্ব।তারপরও মাত্র এক রাতেই ইসরায়েলি আকাশ তছনছ করে দিয়েছে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল,ও ক্রুজ মিসাইল।

ইরান ও ইসরায়েলের মাঝে ৫ দেশের আকাশসীমা। তাহলে কীভাবে ইরান এই ৫ দেশের আকাশসীমা বাইপাস করল?

উত্তর হল ৩ স্তরের কৌশলের মাধ্যমে।

প্রথমত, উচ্চ কক্ষপথ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কৌশল

ইরান ছুঁড়েছে মধ্য পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। যেগুলো ২ হাজার কি.মি. দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই মিসাইলগুলো সোজা উঠে যায় আকাশমণ্ডলের বাইরে। তারপর নির্দিষ্ট গতিপথ ধরে আঘাত করে লক্ষ্যবস্তুতে।

দ্বিতীয়ত, ছায়া যুদ্ধ বা ড্রোনের চতুর খেলা

ইরানের ড্রোনগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের মত নয় বরং আকাশে নিচু হয়ে আসে। এগুলোর বেশিরভাগই ছোঁড়া হয় ইরাক ও সিরিয়ার ইরানপন্থী সশস্ত্র ঘাঁটি থেকে।

তৃতীয়ত, ছলনা বা কৃত্রিম ন্যাভিগেশন সংকেত প্রতারণা

ইসরায়েলে হামলায় ইরান অত্যাধুনিক জ্যামিং টেকনোলজি ও রাডার বাইন্ড স্পট ব্যবহার করে। ড্রোনগুলো এমনভাবে পাঠায় যে রাডারগুলো সিগন্যাল ধরতে পরে না।
এ কৌশলগুলো অনেকটা গোস্ট মিসাইল নীতির মত। যে মিসাইল আসছে রাডার জানে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *