ভারতে এসে ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রেজাউল মণ্ডল। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বাগদার বাগি গ্রামে এসে ভারতীয়কে বিয়ে করে,শাশুড়িকে মা সাজিয়ে ভোটার কার্ড বানিয়েছিলেন। ভোটও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ফের বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন রেজাউল। অভিযোগ পেয়ে ভোটার তালিকায় নাম কাটতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
জানা গেছে, কিছুদিন আগেই বাগদার বিডিও-এর কাছে একটি অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে প্রশাসন জানতে পারে ফিরোজ এবং তার বাবা রেজাউল লাপাত্তা। বৃহস্পতিবার রেজাউলের ভোটার হিয়ারিং ছিল। তার স্ত্রী উপস্থিত হয়ে জানান তার স্বামী ও ছেলে বাংলাদেশে চলে গেছেন।
এই বিষয়ে বাগদার বিডিও প্রসূন প্রামাণিক জানান, একটা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে বাবা এবং ছেলের কোনও প্রমাণপত্র পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বাগী গ্রামের বাসিন্দা শেরফুল মণ্ডলকে বিয়ে করেছিলেন বাংলাদেশের বাসিন্দা রেজাউল মণ্ডল। প্রাথমিকভাবে শেরফুল বুঝতে পারেননি যে তার স্বামী বাংলাদেশি। পরবর্তীতে জানতে পারেন আদতে তার স্বামী বাংলাদেশের বাসিন্দা। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতন হতেই স্বামী বাংলাদেশে চলে যান। বড় ছেলে ফিরোজ মণ্ডলও বাবার সঙ্গে বাংলাদেশে যায়।
স্ত্রী শেরফুল মণ্ডল জানিয়েছেন, ৩০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। প্রাথমিকভাবে তিনি জানতেন না যে তার স্বামী বাংলাদেশি। শেরফুল বলেন,আমার মাকে ‘মা’ বানিয়ে ভোট করিয়েছিলেন। এক-দেড় বছর আগে বাংলাদেশে চলে গেছেন। পরবর্তীতে আমার বড় ছেলেও বাংলাদেশে চলে যায়। বিডিও সাহেব বলেছেন,স্বামীর ভোট কেটে দেবেন। ছেলের ভোট কেটে দেবেন। কিন্তু আমরা তো ভারতীয়,আমাদের ভোট যাতে থাকে সেই ব্যবস্থা করুন।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের নেতা শাহদাদ মণ্ডল বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে এই রেজাউল মণ্ডল বাংলাদেশি এবং তিনি বিএনপি নেতা ছিলেন। সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে তিনি আবার বাংলাদেশে ফিরে গেছেন। ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রেজাউলের স্ত্রী এই দেশের বাসিন্দা। আমরা সেটা জানি। তার ছেলেও ভারতীয়। এরা যাতে এখানে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হোক।
এই বিষয়ে বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশি বাসিন্দা নেতার এখানে পাসপোর্ট হয়ে গেছে। আমাদের ধারণা পাসপোর্ট নিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন।