বি-২ বোমারু বিমান যেভাবে ইরানের রাডার ফাঁকি দিল

আন্তর্জাতিক

ইরানের তিনটি গোপন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের গোপন হামলায় অংশ নিয়েছে বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই অভিযানে অন্তত ছয়টি বি-২ বিমান অংশ নেয়। বিমানগুলো ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ভয়াবহ বাংকার-বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করে।

এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করেছে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (MOP)’ বোমা, যা মাটির গভীরে অবস্থিত টার্গেটও ধ্বংস করতে সক্ষম। বিশেষভাবে সুরক্ষিত ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় এই বোমাগুলো প্রবেশপথ ও ভেন্টিলেশন শ্যাফটে ফেলা হয়।

মার্কিন নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিন থেকেও নিক্ষেপ করা হয় ৩০টির বেশি টমাহক টিএলএম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা নাতাঞ্জ ও ইসফাহান এলাকায় আঘাত হানে। নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে জানা গেছে, নাতাঞ্জেও বি-২ বিমান থেকে দুটি বাংকার-বাস্টার বোমা ফেলা হয়।

হামলার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর এই হামলা ছিল ‘অত্যন্ত সফল’। তার মতে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল কেন্দ্র ফোরদো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে।মার্কিন সামরিক তথ্যসূত্র অনুযায়ী, বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়। মাত্র দুইজন ক্রু এই বিমান পরিচালনা করে। প্রতিটি বিমানের মূল্য প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। এটি ১৮ হাজার কেজি পর্যন্ত অস্ত্র বহনে সক্ষম। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বিমান শত্রুপক্ষের রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে পারে।

এই হামলার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এই সংঘাতকে আরও বিস্তৃত করার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *