বিচারপতি হিসেবে শ্বশুরের নিয়োগের বিষয়ে মুখ খুললেন সারজিস আলম

সারাদেশ

রাষ্ট্রপতি নতুন যে ২৫ জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন এর মধ্যে রয়েছেন অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান।

তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমের শ্বশুর। বিষয়টি সামনে আনেন আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুটি ছবি শেয়ার করে একটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ৪ নম্বরে থাকা আবু তাহের সাহেব নিজেই নিজের বিচারপতি পদে নিয়োগ স্বাক্ষর করেছেন (স্বাক্ষরকারীর নাম দেখুন), এছাড়াও ১৭ নম্বরে থাকা লুৎফর রহমান, নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির এক শীর্ষ নেতার শ্বশুর।

এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। অনেকে এখানে স্বজনপ্রীতির গন্ধ খুঁজছেন। তবে শ্বশুর যে নিজ যোগ্যতায় এই পদে নিযুক্ত হয়েছেন সে ব্যাপারে মুখ খুলেছেন সারজিস আলম।

জুলকারনাইন সায়ের ফেসবুকে সেই পোস্টের নিচেই কমেন্ট করেছেন সারজিস আলম। সেখানে তিনি শ্বশুরের অতিরিক্ত বিচাপতি হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

সারজিস আলম লেখেন, ‘আমি যতদূর জানি আমার নিকটাত্মীয় ১৯৯১-৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ভর্তি পরীক্ষার মার্কসে তিনি ১ম স্থান অধিকার করেন। এসএসসি এবং এইচএসসির রেজাল্টসহ প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে সেই সেশনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় খ ইউনিটে ১৯তম স্থান অর্জন করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। আইন বিভাগ থেকে LLB ও LLM শেষ করে ১৯৯৮ সালে তিনি বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।’

সার্জিস জানান, ২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগ উভয় বিভাগে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের পূর্ব থেকেই তিনি বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

সারজিসের দাবি, তার শ্বশুরের শতাধিক জুনিয়র সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে আইন পেশায় প্রতিষ্ঠিত। তাছাড়া তিনি নবগঠিত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ কর্তৃক সব যোগ্যতার শর্ত পূরণ করে যাবতীয় বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়ে এই সম্মান অর্জন করেছেন।

সারজিস আক্ষেপ করে লেখেন, এখানে তার এই যোগ্যতা ও পরিশ্রমকে একপাশে রেখে আমার নাম টেনে নিয়ে আসা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *