যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় একটি পেট্রোল পাম্প জোরপূর্বক দখলচেষ্টার অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়াও তার সঙ্গে দলের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীর সম্পর্ক না রাখার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বহিষ্কার হওয়া ওই নেতা হলেন—ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারিত্বের চেষ্টায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনোয়ার মেম্বরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত অপরাধের দায়ভার দল কখনও নেয় না। তাই বিএনপিকে জড়িয়ে যারা ব্যক্তিগত অপরাধের দায় গণমাধ্যমে প্রকাশ করে, তাদের মধ্যে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে বলে আমরা মনে করি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিতে অপরাধীদের কোনো স্থান নেই। সুনির্দিষ্ট অপরাধে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, যারা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধা নিয়েছেন, তারাই নেপথ্যে থেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে বাগআঁচড়ার ‘মেসার্স গোলাম কিবরিয়া ফিলিং স্টেশন’ জাল-জালিয়াতি করে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্পটি দখলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তনিমা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ২০২২ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর থেকে আনোয়ার হোসেন জাল দলিল তৈরি করে পাম্পটি দখলের চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা চলমান রয়েছে। এরপরও গত ১৯ সেপ্টেম্বর আনোয়ার ও তার সহযোগীরা পাম্পে ঢুকে ম্যানেজারকে বের করে দিয়ে সব কাগজপত্র ও চাবি ছিনিয়ে নেন। পরে পুলিশকে জানালে তারা পালিয়ে যান, তবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্পটি দখলের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছিলেন।