জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গত ২৪ আগস্ট বরিশালের বাংলাবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি তিনি।
তবে গ্রেফতারের নেপথ্যে নতুন এক নাটকীয় তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। জানা যায়, আফ্রিদির দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাহি নাকি তার গতিবিধি সম্পর্কে গোপনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরে পাচার করছিলেন।
সূত্র জানায়, আফ্রিদির বাবা গুলশান থেকে গ্রেফতার হওয়ার পরপরই তিনি নোয়াখালীতে পালিয়ে যান এবং সেখানেই রাহির বাসায় আশ্রয় নেন। কিন্তু আশ্রয় নেওয়ার সেই বন্ধুই নাকি আফ্রিদির অবস্থান, পরবর্তী পরিকল্পনা সবকিছু ধীরে ধীরে ফাঁস করে দেন।
এমন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর, তৌহিদ আফ্রিদি দ্রুত নোয়াখালী থেকে বরিশালে পালিয়ে যান। কিন্তু তখন আর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো ছিল না। শেষমেশ রাহির সরবরাহকৃত তথ্য দিয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে সফলভাবে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তবে বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকের মতে, এটি প্রমাণ করে—ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলেও শেষ পর্যন্ত যে কেউ বিশ্বাসঘাতক হতে পারে।